আকাশ মিশ্র: ভূতের ছবি কিন্তু ভূতের নয়। হাসির ছবি কিন্তু কোনও দৃশ্য়ই হাসাতে পারে না। ফলাফল, আড়াই ঘণ্টার মাথাব্যথা। ভাবছেন, ক্যাটরিনা তো ছিল! তাহলে? শুধু সৌন্দর্য দিয়ে তো আর ছবি জমানো যায় না। তাই হল, গল্পের ভূত লাফিয়েই গেল আর হাতে রইল পেনসিল।
হ্যাঁ, ক্যাটরিনা কাইফ, সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী, ইশান খট্টর অভিনীত নতুন ছবি ‘ফোন ভূত’ (Phone Bhoot) ঠিক এমনই। যার শুরু থেকে শেষ উদ্দেশ্যহীন। মিনিটে মিনিটে গল্প এমনভাবে বদলে যাচ্ছে যে আপনি কোনও এক গল্পে মন দিতে পারবেন না। যাকে বলে ঘটনার ঘনঘটা। মোটামুটি যা বোঝা গিয়েছে, তা হল ভূতকে সঙ্গী করে এক তান্ত্রিককে শায়েস্তা করার গল্প। যার কেন্দ্রে ক্যাটরিনা, যিনি এক আত্মার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। আর তাঁর সঙ্গী হলেন ইশান ও সিদ্ধান্ত। কিছুটা জনপ্রিয় ‘স্কুবিডু’র গল্প থেকে নেওয়া, কিছুটা হলিউড ছবি ‘ঘোস্টবাস্টার্স’। এরপর তার মধ্যে অতিরিক্ত বলিউডি মশালা। ব্যস, যা তৈরি হল তার নাম ‘ফোন ভূত’। সৌজন্যে পরিচালক গুরমীত সিংয়ের দুর্বল পরিচালনা। দুর্বল চিত্রনাট্যও।
[আরও পড়ুন: চিত্রনাট্যে জোর থাকলেও, ভয় দেখাতে পারল না ‘জতুগৃহ’! নজর কাড়লেন বনি ও পরমব্রত ]
অভিনয়ের দিক থেকে তেমন কিছু বলার নেই। পুরো ছবিটাই যেন ক্যাটরিনার জন্য তৈরি করেছেন পরিচালক। পুরো ফোকাস তাঁর দিকেই। কিন্তু ক্যাটরিনা তার মান রাখতে পারলেন না। ইশান ও সিদ্ধান্তের বিশেষ কিছু করার ছিল না। অল্প স্বল্প কমেডি অবশ্য় করেছেন। বলা ভাল, করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু জমেনি। তবে বহুদিন পর পর্দায় জ্যাকি শ্রফকে দেখে মন্দ লাগবে না।
কোনও কিছুই কী ভাল নেই?
ভালও রয়েছে। এই ছবির ভিএফএক্স বেশ নজরকাড়া। ছবির আবহও বেশ জমজমাট। সব মিলিয়ে এই ছবি হতেই পারত একশো শতাংশ বিনোদনে ভরা ছবি। কিন্তু চিত্রনাট্যের বুনোট ঠিক না থাকায় একেবারে ভরাডুবি হয়ে গেল। ‘ফোন ভূত’ জমল না। ভূতের ছবি হিসেবেও নয়, কমেডি ছবি হিসেবেও নয়।