সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহামারী আবহে সর্বস্ব হারিয়েছেন অনেকেই। পুজোর আলোর বৃত্ত থেকে অনেকটা দূরে রয়েছেন তাঁরা। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের আমেজ পৌঁচচ্ছে না তাঁদের ঘরের কোণে। কিন্তু এক যাত্রায় পৃথক ফল কি হওয়া উচিত? তাই এই উৎসবের মরশুমে সেই সমস্ত দুস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসছেন কিছু মানুষ। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন কৌস্তভ সেনগুপ্ত এবং তাঁর বন্ধুরা।
পুজোয় মণ্ডপ দেখতে বেরিয়ে চোখ চলে যায় রাস্তার দু’পাশে। মলিন পোশাকে বসে থাকেন অনেকে। রঙ্-বেরঙের বাহারি রেস্তরাঁর বাইরে থেকে তাকিয়ে থাকে করুণ চোখে। পেটে চেপে রাখে বহুদিনের না মেটা খিদে। এবার পুজোয় তাদের পেট ভরাতে এগিয়ে এসেছেন কৌস্তভবাবুরা। পুজোর পাঁচদিন জুড়েই রয়েছে তাঁদের একাধিক কর্মসূচি। নাম রাখা হয়েছে, ‘ইচ্ছেপূরণ’। তাঁদের কথায়, “মায়ের আগমনীতে ভালবাসা হোক সংক্রমিত। জীবন পাক পূর্ণতা।”
[আরও পড়ুন: ফের উত্তপ্ত আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ, প্রিন্সিপালের পদত্যাগের দাবিতে কর্মবিরতি ইন্টার্নদের]
কৌস্তভবাবু জানান, রবিবার থেকে শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে বস্ত্র বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে। কুমারটুলি থেকে শুরু হচ্ছে তাঁদের কর্মসূচি। ষষ্ঠীতে রবীন্দ্র সরোবর এলাকার রাস্তায় থাকা মানুষদের মুখে তুলে দেওয়া হবে মাংস-ভাত। সপ্তমীর দিনও খাবার বিতরণ করবেন তাঁরা। শুধু খাবার নয়, পোশাকও তুলে দেওয়া হবে দুস্থ পরিবারের হাতে। মহাষ্টমীর দিন গড়িয়ার ১৫০ জনের হাতে শাড়ি তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ওই এলাকায় নবমীর দিন খাবার বিতরণেরও পরিকল্পনা নিয়েছেন কৌস্তভবাবু ও তাঁর বন্ধুরা।
কৌস্তভবাবু জানিয়েছেন, আমার ও আমার বন্ধুদের পক্ষে একা এই কর্মযজ্ঞ সামলানো সম্ভব নয়। তাই অন্যদের সাহায্য প্রয়োজন। কেউ চাইলে আর্থিক সাহায্য করতে পারেন। তার জন্য একটি গুগল পে নম্বরও দিয়েছেন তাঁরা-9903317742। তবে এই প্রথমবার নয়, কোভিড আবহেও করোনা আক্রান্তদের মুখে খাবার তুলে দিয়েছেন তিনি। দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়া, যাদবপুর, গল্ফগ্রিন এবং নেতাজিনগর এলাকায় করোনা আক্রান্ত পরিবারের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন খাবার। যিনি নিজের হাতেই রান্না সেরেছেন। কোনও দিন ভাত, মাছ বা মাংস কিংবা ডিম। থাকত ডাল, ভাজা। কোনওদিন স্বাদবদল করতে যুক্ত হত তরকারিও। এবার শহরের দুস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: ‘অনেকেই অ্যাপ্লিকেশন জমা দিয়েছেন’, বিজেপিতে আরও বড় ভাঙনের ইঙ্গিত ফিরহাদ হাকিমের]