সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিমানবন্দর বেসরকারিকরণের বিরোধিতায় আগেই সুর চড়িয়েছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (P Vijayan)। তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরের দায়িত্বভার আদানি গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত যে তিনি মানবেন না, তা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছিলেন। এবার কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আরজি জানিয়ে কেরল বিধানসভায় তিনি প্রস্তাব আনছেন।
করোনা পরিস্থিতির প্রভাব বেশ ভালই পড়েছে দেশের অসামরিক বিমান ক্ষেত্রে। তা সামাল দিতে দেশের বেশ কয়েকটি বিমানবন্দর বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নেয় অসামরিক বিমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী জানিয়েছিলেন, আহমেদাবাদ, জয়পুর, ম্যাঙ্গালোর, লখনউ, তিরুবনন্তপুরম এবং গুয়াহাটি বিমানবন্দরকে পিপিপি মডেলে চালানোর অনুমতি আগেই দেওয়া হয়েছে। সেইমতো কেরলের তিরুবন্তপুরম (Trivandrum), রাজস্থানের জয়পুর (Jaipur) ও অসমের গুয়াহাটি (Guwahati) -কে আদানি গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সেই খবর কানে পৌঁছতেই এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে বিরোধিতার কথা জানান। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা না হলে, তাঁরা কাজে সহযোগিতা করতে পারবেন না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন।
[আরও পড়ুন: আলোচনা ব্যর্থ হলে সেনা অভিযানের রাস্তা খোলা, চিনকে হুঁশিয়ারি বিপিন রাওয়াতের]
সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কোনও উত্তর মেলেনি। তাই এবার পরবর্তী পদক্ষেপ নিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন। রাজ্য বিধানসভায় তিনি বেসরকারিকরণের বিরোধিতায় প্রস্তাব পাশ করাতে চান। সেইসঙ্গে আবারও কেন্দ্রের কাছে এই সিদ্ধান্ত ফের খতিয়ে দেখার আবেদন রয়েছে তাঁর। দক্ষিণের বামপন্থী রাজ্যটির সঙ্গে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন সরকারের সম্পর্ক বিশেষ ভাল না হলেও, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মেনে একে অপরের প্রতি ন্যূনতম দায়িত্ব, কর্তব্যে কোনও ঘাটতি হয়নি। খুব বড় কোনও বিষয় সংঘাতের পথে হেঁটেছে কেরল এবং কেন্দ্র - তেমনটাও নয়। তবে তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরের বেসরকারিকরণ নিয়ে হয়ত সেই সংঘাত এবার অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠছে। কেরল বিধানসভায় কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরোধী প্রস্তাব পাশ হয়ে গেলে বিজয়ন সরকার হাতে অস্ত্র পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।