সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই প্রথম দেশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ কার্যকরে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হল কোনও রাজ্য। শনিবার কেরল সরকার এই মর্মে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছে। পাশাপাশি, একই আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম) দলের প্রধান তথা হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।
১১ মার্চ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সিএএ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। তার পরই সিএএ কার্যকরের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। আগামী ১৯ মার্চ সেই মামলাগুলির পরবর্তী শুনানি রয়েছে। সে সময়ই কেরল সরকার ও আসাদউদ্দিন ওয়েইসিদের আবেদন এক সঙ্গে শোনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার কেরল সরকারের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, রাজ্যে সিএএ (CAA) কার্যকর করার বিরোধী তারা। আগেই সংবিধানের ১৩১ নম্বর ধারায় সিএএ নিয়ে কেরল সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিল। তার পরও কেন্দ্র সিএএ কার্যকরের ঘোষণা করায় পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ খতিয়ে দেখে তারা নতুন করে আবেদন জানিয়েছে। অন্যদিকে, শীর্ষ আদালতে জানানো আবেদনে ওয়েইসি (
[আরও পড়ুন: বাংলায় ৭ দফায় নির্বাচন, কোন লোকসভা কেন্দ্রে কবে ভোট? রইল পূর্ণাঙ্গ তালিকা]
Assaduddin Owisi) জানিয়েছেন, সিএএ-তে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হলেও, এই আইনে আসলে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে ওয়েইসি সিএএর সঙ্গে জুড়েছেন জাতীয় নাগরিকপঞ্জিকেও (এনআরসি)। তাঁর দাবি, এনআরসির মাধ্যমে মুসলিম সম্প্রদায়কে নিশানা করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সিএএ পাস করিয়েছিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকার।
[আরও পড়ুন: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পরিস্থিতি কেমন? চিনের মোকাবিলায় কতটা তৈরি ফৌজ? জানালেন সেনাপ্রধান]
ওই আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় অত্যাচারের কারণে এ দেশে আশ্রয় চান, তা হলে তা দেবে ভারত। কিন্তু সিএএ-তে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হলেও সেখানে মুসলিম সম্প্রদায়ের কথা উল্লেখ করা হয়নি।