সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) প্রাণনাশের হুমকি। আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় মোদিকে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি চিঠি এল কেরল (Kerala) বিজেপি দপ্তরে। সোমবারই কেরল যাচ্ছেন মোদি। তার আগে জঙ্গি হামলার হুমকিতে চিন্তায় রাজ্য প্রশাসন। ইতিমধ্যে হুমকি চিঠির সূত্রে ধরে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, কোচিতে প্রধানমন্ত্রীর উপরে ওই হামলা হবে। এই অবস্থায় নিরাপত্তা আরেক প্রস্থ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।
হুমকি চিঠিতে রয়েছে প্রেরকের নাম। তিনি এরনাকুলামের বাসিন্দা জোসেফ জন নাদুমুত্তাথিল। চিঠিতে বলা হয়েছে, মোদির কেরল সফরকালে তাঁর উপর আত্মঘাতী বোমা হামলার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কোচিতে ওই হামলা হতে পারে। এই চিঠির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। গেরুয়া শিবির জানাতেই দ্রুত ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। আটক করা হয় অভিযুক্ত জোসেফ জন নাদুমুত্তাথিলকে। যদিও তিনি যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
[আরও পড়ুন: দলীয় নেতার বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ! কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত অভিযোগকারী মহিলা নেত্রীই]
জোশেফের বক্তব্য, তিনি আদৌ হুমকি চিঠি লেখেননি। কেউ তাঁকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে তাঁর নাম ব্যবহার করে এই চিঠি লিখেছে। তাঁর বক্তব্য, “চিঠিতে আমার নাম ব্যবহার করা হয়েছে। সম্প্রতি একটি গির্জা নিয়ে ঝামেলায় এক মহিলার সঙ্গে বিবাদ জড়িয়ে পড়ি। তাঁকে কড়া কথা বলায় সে আমাকে হুমকি দিয়েছিল।” জোশেফের দাবি, ওই মহিলাই সম্ভবত তাঁর নামে প্রধানমন্ত্রীর প্রাণনাশের হুমকি চিঠি পাঠিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ইফতারের ফল নিয়ে যাওয়ার সময়ই জঙ্গি হামলা সেনার ট্রাকে, ইদ পালন করবে না কাশ্মীরের গ্রাম]
যদিও মোদির নিরাপত্তার বিষয়ে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। কোচিতে শুরু হয়েছে জঙ্গি তল্লাশি। কড়া নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলে হয়েছে গোটা রাজ্য। সাম্প্রতিককালে পিএফআই-র বিরুদ্ধে দেশজুড়ে অভিযানে নামে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও কেন্দ্রীয় সংস্থা। পিএফআই-কে নিষিদ্ধও করা হয়। এই আবহে এই ধরনের হুমকি চিঠিকে কোনওভাবেই হালকা করে দেখছেন না গোয়েন্দারা।