সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের প্রথম স্যানিটারি ন্যাপকিনমুক্ত (Sanitary napkin) গ্রাম হতে চলেছে কেরলের (Kerala) কুমবালাঙ্গি। বৃহস্পতিবার কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান এই ঘোষণা করেতে চলেছেন। শুধু তাই নয় এর্নাকুলম জেলার এই গ্রাম হতে চলেছে দেশের ‘মডেল ভিলেজ’ও। একটি অনুষ্ঠানে দুই বিষয়েই সকলকে জানাবেন রাজ্যপাল।
কীভাবে স্যানিটারি ন্যাপকিন থেকে মুক্ত হবেন এই গ্রামের ঋতুমতী নারীরা? জানা যাচ্ছে, তাঁদের হাতে ন্যাপকিনের পরিবর্তে তুলে দেওয়া হচ্ছে ৫ হাজার মেন্সট্রুয়াল কাপ। গ্রামের সমস্ত ১৮ ঊর্ধ্ব মেয়েদেরই এই কাপ দেওয়া হবে। যার ব্যবহারের মাধ্যমে ন্যাপকিনকে বিদায় জানাবেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: Coronavirus Update: দেশে একদিনে করোনার কবলে ২ লক্ষ ৪৭ হাজার, আজ মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক মোদির]
উল্লেখ্য, গ্রাম বা মফস্বলের বহু অঞ্চলেই মহিলারা ন্যাপকিন ব্যবহার না করে কাপড় ব্যবহার করেন। এর ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে পুরোমাত্রায়। তাই তাঁদের ন্যাপকিন ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া হয়। বহু জায়গাতেই বিনামূল্যে ন্যাপকিন সরবরাহের ব্যবস্থাও করা হয়। কিন্তু কেরলের এই গ্রাম ন্যাপকিনকেও বিদায় জানিয়ে হাঁটছেন মেন্সট্রুয়াল কাপের দিকে।
এই কাপ কি ন্যাপকিনের থেকেও বেশি নিরাপদ? তেমনই দাবি বিশেষজ্ঞদের। যেহেতু এই কাপ ঋতুস্রাবের রক্তকে না শুষে কেবল সংগ্রহ করে রাখে তাই এটি অনেক বেশি নিরাপত্তা দেয়। অনেক সময় ট্যাম্পুন ব্যবহারে যে বিরল ব্যাকটিরিয়ার সংক্রমণ ঘটে থাকে, এক্ষেত্রে তেমনও হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া স্যানিটারি ন্যাপকিন কিংবা ট্যাম্পুনের প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ রক্ত জমা করতে পারে বলে বেশি পরিমাণে ঋতুস্রাবের দিনে এটি অনেক বেশি উপযোগী হতে পারে। আর তাই এই গ্রামে ন্যাপকিনের পরিবর্তে কাপ ব্যবহারে বেশি উৎসাহ দিতে প্রচার চালানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্তদের মাত্র ৭ দিনের হোম আইসোলেশন ‘অবৈজ্ঞানিক’, ক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা]
সাংসদ হিবি ইডেন জানিয়েছেন, রাজ্যে মেয়েদের জন্য ‘আভালকায়ি’ প্রকল্পেরই অংশ এই উদ্যোগ। ‘মডেল’ তথা আদর্শ একটি গ্রাম হিসেবে এই গ্রামকে গড়ে তোলাই লক্ষ্য প্রশাসনের। সেই লক্ষ্যে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে কুমবালাঙ্গি। হয়ে উঠছে পর্যটকদেরও আকর্ষণ। সেই কারণে ইতিমধ্যেই এই গ্রাম পেয়ে গিয়েছে দেশের প্রথম ‘মডেল ট্যুরিস্ট ভিলেজে’র খেতাব। বৃহস্পতিবারের পরে তার মুকুটে জুড়বে আরও দুই নতুন পালক।