সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শখ করে অনলাইনে বিরিয়ানি অর্ডার করেছিলেন। হাতে আসতেই তা আয়েশ করে খান। কিন্তু তারপরই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন বছর কুড়ির তরুণী। কেরলের (Kerala) ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ছড়ায় চাঞ্চল্য। খাবারে বিষক্রিয়া থেকে এহেন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে। মন্ত্রীর নির্দেশে শুরু তদন্ত।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৩১ ডিসেম্বর অর্থাৎ বর্ষবরণের রাতে কেরলের পেরুম্বালার বাসিন্দা অঞ্জু অনলাইনে বিরিয়ানি অর্ডার করেছিলেন। স্থানীয়দের কাছে এই ডিশটি ‘কুঝিমান্থি’ নামে পরিচিত। রোমানশিয়া নামের এলাকারই এক রেস্তরাঁ থেকে এসেছিল তাঁর খাবার। কিন্তু সেই বিরিয়ানি খাওয়ার পরই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন তিনি। তারপর থেকেই হাসপাতালে ভরতি ছিলেন তিনি। শারীরিক পরিস্থিতির এতটাই অবনতি ঘটে যে তাঁকে মেঙ্গালুরুর এক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে হয়। শনিবার সকালে সেখানেই প্রাণ হারান তিনি।
[আরও পড়ুন: বন্ধ হোক ছবি বয়কট ট্রেন্ড, ‘পাঠান’ বিতর্কের মাঝে সরকারের কাছে চিঠি চলচ্চিত্রকর্মীদের]
গোটা ঘটনায় উদ্বিগ্ন সে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, খাদ্য সুরক্ষা কমিশনারকে এ নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। খাবারের বিষক্রিয়া থেকেই তরুণী প্রাণ হারিয়েছেন কি না, তা যাচাই করে দেখতে বলা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মেয়ের মৃত্যুর পরই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর বাবা-মা। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে এলে তদন্ত গতিপ্রকৃতি বোঝা যাবে।
স্বাস্থ্য়মন্ত্রী আরও জানান, যে রেস্তরাঁ থেকে খাবার অর্ডার করেছিলেন অঞ্জু, খাদ্যসুরক্ষা আইন মেনে খাবারে বিষক্রিয়ার অভিযোগে সেই রেস্তরাঁর লাইসেন্স বাতিল করা হবে। উল্লেখ্য, এর আগে প্রায় একই ঘটনা ঘটে কোট্টায়াম মেডিক্যাল কলেজের এক নার্সের সঙ্গে। চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে কোঝিকোড়ের এক হোটেলের খাবার খেয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন তিনি। যার জেরে ছড়িয়েছিল চাঞ্চল্য এবার বিরিয়ানি প্রাণ নিল কেরলের ২০ বছরের তরুণীর।