সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পরই প্রকাশ্যে উত্তরপ্রদেশ বিজেপির অন্দরের কোন্দল। কার্যত সম্মুখসমরে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য। সূত্রের খবর, দিল্লিতে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) সঙ্গে দেখা করে যোগীর বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়েছেন কেশব মৌর্য। তাঁর সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশ বিজেপির সভাপতি বীরেন্দ্র চৌধুরীও।
মঙ্গলবার জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করেছেন কেশবপ্রসাদ মৌর্য (Keshav Prasad Maurya)। তাঁর মূল অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশে বিজেপি সরকার সংগঠনকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। সরকারি আধিকারিক এবং আমলাদের উপর ভর করে সরকার চলছে। গুরুত্ব পাচ্ছেন না কর্মীরা। এমনকী বিধায়কদেরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। দিন কয়েক আগে কেশব মৌর্য প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, "সবসময় মনে রাখতে হবে সরকারের থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন।" তাঁর নিশানায় মূলত যোগী আদিত্যনাথই (Yogi Adityanath)।
[আরও পড়ুন: মাসে ১০ হাজার! ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে পুরুষদের জন্য ‘লাডলা ভাই’ প্রকল্পের ঘোষণা শিণ্ডের]
সূত্রের খবর, নাড্ডার কাছে কেশব প্রসাদ মৌর্য দাবি জানিয়েছেন, রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উচিত উত্তরপ্রদেশে মনোনিবেশ করা। সূত্রের দাবি, বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে দলের সংগঠনে বড়সড় রদবদলের দাবি জানিয়ে এসেছেন কেশব মৌর্য। তাতে সায় দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশ বিজেপির সভাপতি বীরেন্দ্র চৌধুরীও। একই সঙ্গে যোগী মন্ত্রিসভাতেও রদবদলের দাবি জানিয়েছেন তিনি। যদিও মুখ্যমন্ত্রী পদে বদল নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে ছিঁড়ল জোটের সুতো, আপকে ‘পথ দেখিয়ে’ বিধানসভায় একা লড়ার ঘোষণা কংগ্রেসের]
বস্তুত, কেশব-সহ বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ স্পষ্ট অভিযোগ, লোকসভার ভরাডুবির কারণ দলের অন্দরের কোন্দল এবং কর্মীদের অসন্তোষ। দ্রুত সেটা না মেটালে রাজ্যে বিজেপির জন্য দুর্দিন অপেক্ষা করে আছে। সূত্রের দাবি, বিজেপির (BJP) পরাজিত সাংসদদের অনেকেই আড়ালে আবডালে হারের পর সুর চড়িয়েছেন যোগীর বিরুদ্ধেই। তাঁদের মতে, যোগী আদিত্যনাথের কার্যপদ্ধতির জন্যই কর্মীদের সঙ্গে নেতৃত্বের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে।