সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদেশি মুদ্রা আইন বা FEMA-র অধীনে মামলা চলছে তাঁর বিরুদ্ধে। বহিষ্কৃত সাংসদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করেছে ইডি। এর পরই মহুয়া মৈত্র আক্রমণ করলেন বিজেপিকে (BJP)। নিজের এক্স হ্যান্ডলে নেত্রীর খোঁচা, 'খুলে হ্যায় বিজেপি কে দ্বার/ আ যাও নহি তো অব কে বার— তিহাড়।' অর্থাৎ তাঁর পরিষ্কার ইঙ্গিত, বিজেপিতে যোগ না দিলে বিরোধী নেতানেত্রীদের ঠিকানা হবে তিহাড় জেল।
নিজের পোস্টের সঙ্গে একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনও জুড়ে দিয়েছেন মহুয়া (Mahua Maitra)। যেখানে দাবি করা হয়েছে, দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ ২৫ জন বিরোধী নেতা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে তাঁদের মধ্যে ২৩ জনকেই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সংসদে টাকার বিনিময়ে আদানি বিরোধী প্রশ্ন তোলার অভিযোগে খারিজ হয়েছে মহুয়ার সাংসদ পদ। এনিয়ে তদন্ত করছে ইডি। আর সেই মামলায় এর আগে মহুয়া মৈত্রকে দিল্লির দপ্তরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। বেশ কিছু নথিপত্র চেয়ে তাঁকে তলবও করা হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু হাজিরা এড়িয়েছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল (TMC) প্রার্থী। গত সপ্তাহেও টাকার বদলে প্রশ্ন মামলায় মহুয়াকে সমন পাঠায় ইডি। তিনি সেই সমনে সাড়া না দিয়ে ভোটপ্রচারেই ব্যস্ত ছিলেন। এহেন পরিস্থিতিতে নয়া মামলা দায়ের করে মহুয়ার উপর চাপ আরও বাড়িয়েছে ইডি।
[আরও পড়ুন: আগুনে গরমে পুড়বে গোটা দেশ, এপ্রিল-জুনে ভয়ংকর তাপপ্রবাহের সতর্কতা মৌসম ভবনের]
এদিকে লোকসভা ভোটের প্রচারে মহুয়া মৈত্রকে পাশে নিয়েই বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক কোপ দাগতে দেখা গিয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। তৃণমূল নেত্রীর কথায়, “লোকসভায় মহুয়া জোরে জোরে কথা বলত। বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হত বলে মহুয়াকে টার্গেট করেছে। ভোটে দাঁড়ানোর পর ওর বাবা-মাকেও ছাড়ছে না।” সভা শেষে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটারদের উদ্দেশে মমতার বার্তা, “ওদের মুখোশ খুলতে হলে মহুয়াকে আবার জেতাতে হবে।”