সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মারণ রোগে ভুগছেন বাবা। খবর পেয়ে বিদেশ থেকে ছুটে এসেছেন ছোট ছেলে। সবমিলিয়ে অভিমান ভুলে ঘরে ফেরার ছবি ব্রিটিশ রাজপরিবারে। সূত্রের খবর, সমস্ত ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলেছেন রাজা তৃতীয় চার্লস (King Charles III) ও রাজকুমার হ্যারি (Prince Harry)। শুধুমাত্র ছেলের সঙ্গে কথা বলার জন্যই দেরি করে ফিরেছেন সময়ানুবর্তী রাজা।
গত সোমবার জানা যায়, ক্যানসারে ভুগছেন রাজা তৃতীয় চার্লস। সেই খবর পেয়েই ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ব্রিটেনে (Britain) ফিরে আসেন রাজকুমার হ্যারি। সূত্রের খবর, ক্ল্যারেন্স হাউসে দেখা হয় বাবা-ছেলের। অন্তত ৩০ মিনিট ধরে একান্তে কথা বলেন তাঁরা। রাজপরিবারের বিশেষজ্ঞদের মতে, দুপক্ষের আলোচনায় বরফ গলার ইঙ্গিত মিলেছে। কী নিয়ে কথা হল তা অবশ্য জানা যায়নি। উল্লেখ্য, অসুস্থ চার্লসকে দেখতে আসেননি মেগান মার্কেল।
[আরও পড়ুন: ভোটের দিনও পাকিস্তানে বিস্ফোরণ, নিরাপত্তারক্ষীদের উপর হামলা! মৃত অন্তত ৩]
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজপরিবারের এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি বলেন, “সবসময় কড়া নিয়ম মেনে চলেন রাজা চার্লস। ঘড়ি ধরে চলাফেরা করেন সবসময়। লন্ডন থেকে নরফোকে গিয়ে বিশ্রাম নেওয়ার কথা ছিল তাঁর। সেই মতোই বাকিংহাম থেকে সানড্রিংহাম প্রাসাদে যাওয়ার জন্য চার্লসের বিমান। কিন্তু হ্যারির সঙ্গে কথা বলার জন্য সেই বিমানযাত্রাতেও বেশ খানিকটা দেরি করেন রাজা।”
তবে বাবার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হলেও দাদা উইলিয়ামের সঙ্গে টানাপোড়েন মিটবে রাজকুমার হ্যারির? সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এদিনের সাক্ষাতে হাজির ছিলেন না উইলিয়াম। একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে যে উইলিয়ামের স্ত্রী কেটের দুর্ব্যবহারের জন্যই রাজপরিবার ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন হ্যারি ও মেগান। ২০২২ সালে রানি এলিজাবেথের মৃত্যুর পরে শেষবার দুই ভাইকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। তার পরও তাঁদের সম্পর্কে উন্নতি হয়নি।