সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমের তো কোনও লিখিত শর্ত হয় না। কোনও শর্তাবলী নেই আপনজনের সঙ্গে সম্পর্কেরও। প্রথা অনুযায়ী যেটা চলে আসছে, তা নতুন আঙ্গিকে পরিবেশন। কর্মব্যস্ত জীবনে অনেক ছোট কথা হয়ে যায় সম্পর্কে ভাঙনের কারণ। আর গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রন্ড যদি অভিযোগ করে, আপনি তার সঙ্গে ধোঁকা দিয়েছেন, তখন উপায়! কিন্তু এই ধোঁকার পরিমাপ ঠিক কী! কী দিয়েই বা মাপবেন এই প্রতারণাকে! ভাবছেন, এমনও হয় নাকি? ২০১৯-এ এসে এমনটা না ভাবলে আপনার সম্পর্ক ‘ফিনিশ’।
চুম্বন
স্কুল-কলেজ হোক বা কর্মক্ষেত্র। নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা এখন স্বাভাবিক। যে কোনও কাজে প্রয়োজন পড়তেই পারে সবাইকে। সম্পর্ক ছাড়াও ভাল বন্ধু হয়ে ওঠে অনেকেই। চলে সাবলীল মেলামেশা। কিন্তু এই সাবলীল দৃষ্টিভঙ্গি অনেক সময় প্রিয়জনের কাছে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সন্দেহে তোলপাড় হয় মন। আসলে হয়তো তেমন কিছু নেই। বা থাকতেও পারে। হ্যাঁ ও না-এর দ্বন্দ্বে মনের আসল সমীকরণ পড়ে থাকে। ঠিক কতটা সীমা লঙ্ঘন করলে আপনি প্রিয়জনকে ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। গবেষণায় জানা গিয়েছে এক্ষেত্রে নারী-পুরুষ দু’জনের উত্তরে কিছুটা পার্থক্য আছে। প্রিয়জন যদি অন্য পুরুষ বা নারীকে চুম্বন করে, তবে তা প্রতারণার জন্য যথেষ্ট। ব্রিটেনে এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, ৭৩ শতাংশ মহিলা চুম্বনকে ধোঁকা হিসেবে দেখে। কিন্তু ৫০ শতাংশ পুরুষও এই মতামতকে সায় জানিয়েছেন। কিন্তু বাকি ৫০ শতাংশের মতে, এটা ধোঁকা হিসেবে দেখা উচিত নয়। কোনও কোনও মুহূর্তে হয়েই যেতে পারে।
শয্যাসঙ্গী
তবে এক্ষেত্রে আরও একটা বিষয় উঠে আসতে দেখা যায়। সম্পর্কে থাকাকালীন অন্য কারও প্রতি আগ্রহ বা মেলামেশা বাড়লে, আড়াল করার চেষ্টা করলেও বুঝতে পারে প্রিয়জন। অনেকে হয়তো পারেন না। কিন্তু একদিন সামনে আসে সব সত্য। হয়তো অকপট স্বীকারোক্তি। বা ধরা পড়ে যায় মোবাইল, ল্যাপটপের কথোপকথনে। কিন্তু এক্ষেত্রে ধোঁকা দেওয়ার আরও একটি মাপকাঠি আছে। কতদিন ধরে আপনার প্রিয়তমা ঠকাচ্ছে। এক মাস, ছমাস, নাকি বছরের পর বছর। তার ওপরেও এই ধোঁকার পরিমাণ নির্ভর করে। সম্পর্কে থাকাকালীন অন্য কোনও পুরুষ বা নারীর শয্যাসঙ্গী হওয়াকে আপনি কতটা ধোঁকা মনে করেন! এক্ষেত্রে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ৯১ শতাংশ এই মতামতকে সায় জানিয়েছেন। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, ৭ শতাংশ নিজের প্রিয়জনকে অন্যের শয্যাসঙ্গী হওয়া নিয়ে কোনও আপত্তি জানাননি।
[ইউটিউব বন্ধ থাকলেই পোয়াবারো পর্নহাবের!]
সাইবার সেক্স
এখন স্কাইপি, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের জমানাও শেষ হওয়ার মুখে। এসে গিয়েছে আরও অত্যাধুনিক ভিডিও চ্যাট অ্যাপস। পার্টনার কী করছে, তা নিয়ে নজর রাখার মতো সময় কি আপনার আছে! আর কতক্ষণই বা নজর রাখবেন। পার্টনারের সাইবার সেক্সের কোন কোন বিষয় আপনি ধোঁকা বলে মনে করেন! ৭৫ শতাংশ মহিলা মনে করেন সাইবার সেক্স ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ বা পার্টনারের সঙ্গে প্রতারণা। একই সঙ্গে ৫০ শতাংশ পুরুষ এই সাইবার সেক্সকে ধোঁকা হিসেবে দেখেন। ডেটিং অ্যাপসকেও অনেকে ধোঁকা বলে মনে করেন। কিন্তু সংখ্যাটা খুব কম। ৪০ শতাংশ মানুষ এই ডেটিং অ্যাপ নিয়ে একটু ঘ্যানঘ্যান করেন বইকি। বাকি ৬০ শতাংশ মানুষ মনে করেন না।
সম্পর্কের ক্ষেত্রে ধোঁকা বা প্রতারণা এক একজন মানুষের কাছে এক একরকম। কেউ অল্পতেই বেশি প্রতিক্রিয়াশীল। আবার কেউ ততটা গুরুত্ব দিতে চান না। সম্পর্ককে কে কীভাবে দেখে, সেই দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ আলাদা। তাই পার্টনারকে কে কতটা স্বাধীনতা দেয়, আর কতটা রাশ নিজেদের হাতে রাখে সেটাও ভাবার বিষয়। কিন্তু কর্মব্যস্ত সমাজে এসব বিষয় নিয়ে যে ভাবার সময় এসেছে, সেটাই যেন দেখিয়ে দিল এই সমীক্ষা।
[যৌন ফ্যান্টাসিই বলে দেবে আপনি কেমন মানুষ]
The post প্রিয়জনকে ধোঁকা দেওয়ার মাপকাঠি একটা চুম্বন! সমীক্ষায় উঠে এল আজব তথ্য appeared first on Sangbad Pratidin.