সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অফিস যেতে পছন্দ করেন এমন লোকের সংখ্যা যে হাতেগোনা, তা বলাই বাহুল্য। ঝাঁ চকচকে অফিসও আকর্ষণ করে না কাউকে। প্রায় প্রতিদিনই মুখ বেজার করে অফিসে হাজির হন সকলে। কারণ, না গিয়ে উপায় কী! যারা ওয়ার্ক ফ্রম হোম করেন, তাঁরাও যে খুব খুশি মনে কাজ করেন, তা কিন্তু নয়। কিন্তু ভেবেছেন কেন কর্মস্থলের প্রতি এত অনিহা সকলের? চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক সেই কারণগুলো।
১. ভারতে কাজের নিয়মেই রয়েছে গলদ। এদেশে বেসরকারি সংস্থায় সপ্তাহান্ত বলে কার্যত কিছু নেই। বস চাইলে সারা সপ্তাহ কাজ করতে বাধ্য হন কর্মীরা। পরিবারের সঙ্গে ডিনারে বসেও অফিসের ফোন না ধরে উপায় থাকে না। প্রয়োজনে দিনভর অফিসে কাজের পরও বাকি থাকা কাজ সারতে হয় বাড়ি ফিরে। ফলে ব্যাক্তিগত জীবন বলে কিছু থাকে না। যা কর্মক্ষেত্রের প্রতি বিরক্ত তৈরি করে।
২. অনেকক্ষেত্রে দেখা যায়, বছরের পর বছর একই পদে একই কাজ করতে হয়। একইভাবে খুববেশি বেতন বৃদ্ধি যে হয় না, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অর্থাৎ যতই পরিশ্রম করুন, সময় দিন না কেন সে অর্থে আর্থিক উন্নতি বা পদোন্নতি হয় না। তাই কাজের জায়গার প্রতি ভালোবাসাও থাকে না।
৩. ভারতীয়দের ক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা হচ্ছে, এদেশে পছন্দের মতো পেশা বাছতে পারেন না প্রায় কেউই। পরিস্থিতির চাপে অধিকাংশই এমন কোনও চাকরিতে যোগ দেন, যে সেক্টরে তার আগ্রহ নেই বিন্দুমাত্রও। স্বাভাবিকভাবেই অফিস তার কাছে বিরক্তির জায়গা হয়ে দাঁড়ায়।
৪. গুণীরাও বিষাক্ত পরিবেশে দীর্ঘদিন থাকলে সৃজনশীলতা হারিয়ে ফেলে। আপনার বস যদি ভালো না হয়, অফিসের গ্রুপে যদি অশান্তি লেগেই থাকে একপর্যায়ে তা বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায় কর্মীরা মানসিকভাবে বির্পযস্ত হয়ে পড়ে পড়েন। অফিসমুখো হতেই চান না।
এই সমস্যা সমাধানের উপায় যে নেই তা কিন্তু নয়। জীবনে প্রায়োরিটি সেট করা অত্যন্ত দরকার। কতটুকু সময় মেসেজ দেখবেন, অফিসের ফোন ধরবেন তা ঠিক করে নিন নিজেই। বেতন বৃদ্ধি যদি ঠিক মতো না হয়, তা নিয়ে সরাসরি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলুন। কাজের চাপে হবিগুলো ভুলবেন না। একইভাবে কেরিয়ারের উন্নতির জন্য পড়াশোনা চালিয়ে যান। ইন্টারভিউ দিতে থাকুন। সর্বপরি মাথায় রাখুন, আপনি কাজের উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন মানে সেটা আপনার গলদ তা কিন্তু কখনই নয়।
