সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যৌনতা এক এমন অভিজ্ঞতা যেখানে শরীর জ্বলে ওঠে আতসবাজির মতো। কিন্তু 'খেলা' যদি হয় নিজের সঙ্গে নিজের, তাহলে বারুদে বারুদে ঘষা লাগলেই স্ফুলিঙ্গের বন্যা। কিন্তু যখন তা অন্য কারও সঙ্গে, তখন অজান্তেই বোধহয় একটা 'দায়িত্ব' চলে আসে। সঙ্গীকে সুখের সাগরে নিমজ্জিত করার। আর তা করতে গিয়ে নিজের কাছেই অধরা থেকে যায় সুখের চাবিটা! মহিলাদের ক্ষেত্রে 'অর্গ্যাজম' তখন হয়ে ওঠে বিরল এক অভিজ্ঞতা। অথচ কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখলেই হতে পারে কেল্লাফতে।
নিজের শরীরে সুখের ঝরনা বইয়ে দিতে গিয়ে প্রথমেই যেটা মাথায় রাখতে হবে, সেটা হল নিজের শরীরকে চেনা! মনে হবে এ আর এমন কী ব্যাপার। কিন্তু এটা সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আমাদের নিজেদের শরীর নিজের কাছেই হয়ে থাকে অচেনা। অথচ এটাই সুখের প্রকৃত দরজা। যেমন নারীর যৌনতার মূল সুখ হিসেবে আমরা জানি ক্লিটোরিসের কথা। এর গ্রন্থিগুলি বাইরে থেকে স্পর্শযোগ্য এবং স্পর্শের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল। যোনির ভেতরের ও বাইরের অংশও খুব সংবেদনশীল। তবে এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ব্যক্তিগত সুখানুভূতির তারতম্যও। যোনিতে কীভাবে এবং কোথায় স্পর্শ করলে ভালো লাগে, তা অন্বেষণ করাটা অত্যন্ত জরুরি।
তবে এটুকু কেবল জানলেই হবে না। যোনির অভ্যন্তরীণ কোন অংশগুলি নারীকে সুখ দেয় সেটাও জানা দরকার। অথচ দুর্ভাগ্যের বিষয়, সেটা অনেকেরই জানা নেই। মনে রাখতে হবে ক্লিটোরিসের ভেতরের গঠনটি ইংরেজি 'Y' অক্ষরের মতো। স্বমেহনের সময় আঙুল কিংবা সেক্স টয়ের সাহায্যে এই অঞ্চলকে সহজেই উদ্দীপ্ত করা যায়। সেজন্য যোনির উপরের ভেতরের দেওয়ালে, পেটের দিকের অংশে মনোযোগ দিলেই হবে। কিন্তু যখন পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার সময়, তখনও খেয়াল রাখতে হবে যেন পুরুষাঙ্গ ওই অঞ্চলকে উদ্দীপ্ত করতে পারে। সেক্ষেত্রে তাঁকে বোঝাতে হবে, ঠিক কোথায় কোথায় স্পর্শ চাই। সেইমতো সঙ্গমের সময় নিজের অবস্থান ঠিক করে নিলেই দ্রুত সুখানুভূতির তুঙ্গ মুহূর্তে পৌঁছতে পারা যাবে।
আর এর সঙ্গেই এসে পড়ে সঙ্গীর সঙ্গে মন খুলে কথা বলার বিষয়টা। সংকোচ দূরে রেখে পরিষ্কার করে নিজের ইচ্ছেটা প্রকাশ করলেই যৌন জীবনের আড়ষ্টতা কাটবে। আর সেজন্য কেবল মুখের কথা নয়, শরীরী ভাষাও সাহায্য করে। আসলে সিনেমায় যৌনতার তুঙ্গ মুহূর্ত যেমনভাবে আসে, বাস্তবটা তার থেকে আলাদা। এখানে ফোকাস ধরে রাখাটা দরকার। এর জন্য সঙ্গী নয়, মূল মনঃসংযোগ নিজের উপর ধরে রাখতে হবে। প্রয়োজনে সঙ্গম চলাকালীন ইশারায় বুঝিয়ে দিতে হবে এইভাবে পুরুষাঙ্গ যোনিতে প্রবেশ করলেই সবথেকে বেশি সুখকর হচ্ছে ঘর্ষণ। অথবা প্রয়োজনে হাত দিয়েও সঠিক অবস্থানে তা ধরে রাখতে পারেন। এই দিকগুলি মাথায় রাখলেই আপনার শরীর জুড়ে সুখের ঝরনা বইতে সময় লাগবে না।
