স্টাফ রিপোর্টার: আইপিএলে (IPL 2024) কলকাতা নাইট রাইডার্সের (Kolkata Knight Riders) কাছে এই ম্যাচটা বরাবরই আলাদা। গুরুত্বে, মর্যাদায়, সম্মানে। শোনা যায়, প্রথম আইপিএলের সময় কেকেআর মালিক শাহরুখ খান টিমের কাছে কাতর আর্জি জানিয়েছিলেন যে, ‘আমি তোমাদের কাছে কখনও কিছু চাইনি। আমাকে তোমরা শুধু এই ম্যাচটা জিতিয়ে দাও। মুম্বইয়ে সবাই আমাকে বাদশা বলে।’
নাহ্, টিম মালিকের অনুরোধ সে দিন রক্ষা করতে পারেনি কেকেআর। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে বিধ্বস্ত হয়ে ফিরেছিল। কিন্তু কেকেআরের কাছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians) ম্যাচের গুরুত্ব আজও কমেনি এতটুকু। আজও খেলাটার আবহে একটা স্ফুলিঙ্গ ঘোরাফেরা করে। যদিও দেখতে গেলে, আইপিএলের এই এক প্রতিপক্ষের কাছে সবচেয়ে বেশি পর্যুদস্ত হওয়ার রেকর্ড রয়েছে কেকেআরের। আজ পর্যন্ত ৩২ বার আইপিএলে সাক্ষাৎ হয়েছে দু’দলের (KKR vs MI)। মুম্বই জিতেছে ২৩-টায়। কেকেআর মাত্র ন’টায়।
[আরও পড়ুন: শেষ ওভারে দরকার ১৩ রান, কোন মন্ত্রে হায়দরাবাদকে জেতালেন ভুবি?]
কিন্তু এবার প্রেক্ষাপট, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। কেকেআর যেখানে লিগ টেবলের দু’নম্বরে। সেখানে মুম্বইকে এখন তীব্র ছন্নছাড়া দেখাচ্ছে। দশ ম্যাচে মাত্র তিনটে জয় নিয়ে তারা এই মুহূর্তে ন’নম্বরে। প্লে-অফে যেতে হলে বাদবাকি ম্যাচগুলো জিততে তো হবেই মুম্বইকে, একই সঙ্গে বাকি টিমের রেজাল্টের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে। কেকেআরের হয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করতে এসেছিলেন সহকারি কোচ অভিষেক নায়ার। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ঠিক কত পয়েন্ট পেলে নিজেদের ‘সেফ জোন’-এ মনে করবে কেকেআর? কারণ, যা পরিস্থিতি তাতে আর দু’টো ম্যাচ জিতলেই কেকেআরের প্লে অফ বার্থ নিশ্চিত হয়ে যাওয়া উচিত। উত্তরে নায়ার বলে দেন, “বলা মুশকিল ঠিক কত পয়েন্ট পেলে কিংবা ক’টা ম্যাচ জিতলে আমাদের প্লে-অফে যাওয়া নিশ্চিত হবে। আমি বলব, যত বেশি সম্ভব ম্যাচ জেতা যায়, ঠিক ততই ভালো।” মিচেল স্টার্কের ফর্ম নিয়েও জিজ্ঞাসা করা হয় নায়ারকে। জানতে চাওয়া হয়, টিমের এক নম্বর পেসারের বোলিংয়ে তাঁরা সন্তুষ্ট কি না? জবাবে নায়ার বলে দেন, “সম্পূর্ণ ভয়ঙ্কর মিচেল স্টার্ককে কে না চায়? কিন্তু এটাও দেখতে হবে, প্রয়োজনের সময় আমাদের ও ব্রেক থ্রু দিয়েছে। যেমন দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে জেক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ককে তুলে নিল।”
[আরও পড়ুন: মনমরা রিঙ্কুকে দাদার মতো পেপ টক রোহিতের! ভারত অধিনায়কের প্রশংসা নেটদুনিয়ায়]
ঘটনা হল, মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে স্টার্ক থাকছেন। কিন্তু কেকেআর পাবে না হর্ষিত রানাকে। দিল্লি ম্যাচে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে তিনি এক ম্যাচ নির্বাসিত হয়েছেন। এর বাইরে খবর বলতে, মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে দেশে ফিরে গিয়েছেন কেকেআরের আফগান উইকেটকিপার-ব্যাটার রহমানুল্লাহ গুরবাজ। শোনা যাচ্ছে, তাঁর মা হাসপাতালে ভর্তি। সব ঠিকঠাক চললে, আগামী সপ্তাহে ফিরতেও পারেন। আপাতত ঠিক আছে। কিন্তু কেকেআর প্লে-অফে উঠলে প্রয়োজন পড়বে গুরবাজকে। কারণ, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ পড়ে যাওয়ায় দেশে ফিরে যেতে হবে আপাতত দলের ভরসা ফিল সল্টকে।
কিন্তু সে সব পরে হবে। পরের কথা। আপাতত মুম্বই ম্যাচটাই ধ্যানজ্ঞান নাইটদের। ওয়াংখেড়েতে জিততে পারলে প্লে-অফের দৌড়ে আরও অনেকটা এগিয়ে যাবে তারা।