সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা পুরসভার লড়াইয়ে বর্তমানের প্রশাসক তথা রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী, জনপ্রিয় নেতা ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) কি ফের প্রার্থী হচ্ছেন? নাকি দলের ‘এক ব্যক্তি এক নীতি’র কাঁটায় তিনি বাদ পড়বেন? শুক্রবার কলকাতা পুরভোটে (Kolkata Municipal Election) তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা প্রকাশের কয়েক মুহূর্ত আগেও এই প্রশ্নের দোলাচলে ভুগেছে রাজনৈতিক মহল। তবে পুরপরিষেবায় ফিরহাদের অভিজ্ঞতাকে সম্বল করে আবারও তাঁকে দেওয়া হয়েছে প্রার্থীপদ।
তবে বিশেষভাবে উল্লেখ্য, এবারের পুরভোটে তৃণমূলের তরফে কোনও মেয়র মুখ নেই। অর্থাৎ ভোটে জিতলে ফিরহাদ হাকিমই যে ভাবী মেয়র হবেন, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চয়তা নেই। তালিকায় নিজের নাম দেখে ফিরহাদ বলছেন, ”আমি দলের অনুগত সৈনিক। ভোটের পর যে দায়িত্ব দেবে দল, সেটাই করব।”
[আরও পড়ুন: শারীরিক অসুস্থতায় মৃত্যু নাকি অন্য কিছু? অ্যাপ ক্যাবে মহিলা যাত্রীর প্রাণহানির কারণে ধোঁয়াশা]
২০১৮ সালে শহর কলকাতার রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বদল হওয়ায় আচমকা পুরসভার দায়িত্বে আসা ফিরহাদ হাকিমের। সে বছর আচমকা কলকাতার তৎকালীন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় হঠাৎ করে দলের সমস্ত পদ ছেড়ে দেওয়ায় আপৎকালীন পরিস্থিতি সামলাতে ফিরহাদকে নির্বাচিত করেছিল দল। তাঁকে মেয়র পদে বসানোর জন্য পুর আইনও সংশোধন করা হয়। নতুন পুর আইন অনুযায়ী, বিধায়ক পদের মতো মেয়র হওয়ার পর ছ’মাসের মধ্যে তাঁকে জিতে আসতে হবে কোনও ওয়ার্ড থেকে। তাই পরবর্তী সময়ে চেতলা অঞ্চলের ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হয়ে থেকে জিতে আসেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর সময়ে কলকাতা পুরসভার নাগরিক পরিষেবার উন্নতি হয় বলে মত বহু শহরবাসীর। বিশেষত কোভিড পরিস্থিতিতে যেভাবে কাজ সামলেছে ফিরহাদের নেতৃত্বাধীন পুরপ্রশাসক বোর্ড, তা যথেষ্ট প্রশংসার দাবি রাখে।
[আরও পড়ুন: KMC Election: ফিরহাদ-অতীন-দেবাশিসে ভরসা, পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন ৬ বিধায়ক]
এছাড়াও একাধিক বিষয়ে লাল ফিতের জট কাটিয়ে পুরপরিষেবা সরলীকরণে ফিরহাদ হাকিম নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। তাতেই অনেক কাজ সহজ-সরল হয়েছে। এসবের পর ফিরহাদ হাকিম পারফরম্যান্সের নিরিখে ফের মেয়র হওয়ার লড়াইয়ে এগিয়ে, তা স্পষ্ট ছিল। কিন্তু তৃণমূলের ‘এক ব্যক্তি এক নীতি’র জটে তাঁর পুরভোটে লড়াই অনিশ্চিত ছিল। যদিও বিস্তর আলাপ-আলোচনার পর তাঁকে নিজের ওয়ার্ড অর্থাৎ ৮২ নং ওয়ার্ড থেকেই প্রার্থী করা হয়েছে।
লড়াইয়ে সৈনিক হয়ে খুশি বর্তমানের পুরপ্রশাসক। তাঁর মতে, দল কাকে মেয়র পদে বসাবে, তা একান্তই দলের সিদ্ধান্ত। তবে তিনি নিজের কর্তব্যে অবিচল। যখন যে দায়িত্ব পাবেন, তখন সেটাই ভালভাবে পালন করবেন।