কৃষ্ণকুমার দাস: কলকাতায় যাঁদের কো-মরবিডিটি আছে এমন ব্যক্তিদের আগেই ভ্যাকসিন (Vaccine) দিতে চায় কলকাতা পুরসভা। সেই তালিকা প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। যেদিনই ভ্যাকসিন আসবে এবং নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী সবুজ সংকেত দেবেন সেদিন থেকে শহরে গণ টিকাকরণ শুরু হবে, জানালেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
বুধবার বিকেলে নাইসেডে কলকাতা পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim) স্বাগত জানান ডিরেক্টর শান্তা দত্ত। এরপর ভিতরে গিয়ে তিনি যে করোনার টিকা নিতে রাজি, সেই সম্মতি পত্রে সই করেন। তারপরই আসল পর্ব। তাঁর উপরই পরীক্ষামূলকভাবে কোভ্যাক্সিন প্রয়োগ করে বৈজ্ঞানিক ট্রায়ালের সূচনা ঘটে নাইসেডে। দেশীয় ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়ালে অংশ নেওয়া কলকাতার ‘ফার্স্ট সিটিজেন’ পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম টিকা নেওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরে ভালই আছেন। বৃহস্পতিবার তিনি জানান,“পুরো ফিট আছি। এই ভ্যাকসিন ট্রায়াল শেষ হলেই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিলেই শহরে প্রতিটি ওয়ার্ডে গণ টিকাকরণ শুরু করব। আমাদের তালিকা সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছে।”
[আরও পড়ুন: বডি ম্যাসাজের টোপ, ভুয়ো পার্লারে আটকে রেখে দুষ্কৃতী হামলা, সর্বস্বান্ত যুবক]
উল্লেখ্য, রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশে শহরে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা চালিয়ে ইতিমধ্যে ৩০ লক্ষ মানুষের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে কো-মরবিডিটি আছে এমন নাগরিকদের নাম আলাদা বাছাই করেছে পুরসভার স্বাস্থ্যদপ্তর। কিন্তু এই সমীক্ষায় আরও প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ বাদ পড়েছেন। সেই বাদ পড়া বাসিন্দাদেরও নথিভুক্ত করতে ফের পুরসভা সমীক্ষা শুরু করছে। কিন্তু সরাসরি কোন টিকা দেওয়া হবে তা নিয়ে পুরমন্ত্রী মুখ খোলেননি। তবে তিনি নিজে যে ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে অংশ নিয়েছেন সেটাই শহরে বন্টন করতে চান তা স্পষ্ট। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বৃহস্পতিবারের বুলেটিন অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় নতুনভাবে করোনায় (Coronavirus) সংক্রমিতের সংখ্যা ৭৭৪ জন, মারা গিয়েছেন ১২ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৮৯৯ জন করোনা আক্রান্ত।