‘লোন এগেনস্ট সিকিউরিটিজ বা LAS-এর দুনিয়া বিশাল। নানা ছোট-বড় ব্যাংক, শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ডের মর্টগেজ করানোর পর লোন দেয়। কোনটা ছেড়ে কোনটা নিজের জন্য বাছবেন, তা দীর্ঘমেয়াদি স্তরে আপনার জন্য লাভজনক সত্যিই হবে কি না-ভাবনার বিষয় সেটাও। তবে আপনার চিন্তা লাঘব করতে পারে ফিক্সড ডিপোজিটের উপর ওভারড্রাফ্ট তথা এফডিওডি, বাজারে যা ক্রমশ নজর টানছে। আলোচনায় টিম সঞ্চয়
লোন এগেন্স্ট সিকিউরিটিস তথা ল্যাসের দুনিয়ায় একাধিক জনপ্রিয় স্কিম আছে। সেগুলির মধ্যে খুবই চালু যেটি, সেটির নাম FDOD, অর্থাৎ ফিক্সড ডিপোজিটের উপর ওভারড্রাফ্ট। এই প্রেক্ষিতে জানাই, আজকাল ব্যাংক এবং অন্য লোন সংস্থা এই জাতীয় প্রকল্পের প্রতি লগ্নিকারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য জোরদার প্রচার করে থাকে।
[আরও পড়ুন: ডিবেঞ্চারে লগ্নি করুন নির্ভাবনায়, তবে অবশ্যই মাথায় রাখুন এই তথ্যগুলি]
যদিও ব্যবসায়ী মহলে এই স্কিমটি বেশি গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে, একক বিনিয়োগকারীও আজকাল অনেক সময় FDOD কাজে লাগাতে চান। অতি সহজেই তা করা যায় এবং এই জন্যই ব্যবস্থাটি এত সুবিধাজনক বলে গণ্য। প্রায় সমস্ত ব্যংকই ডিপোজিটের ৮০-৯০ শতাংশ পর্যন্ত লোন দিতে রাজি থাকে। চালু ডিপোজিটই ব্যবহার করা যায়, যদিও অনেক সময়ই দেখা যায়, লগ্নিকারী একান্তভাবেই নতুন ডিপোজিট করে নিয়েছেন এই সুবিধাটুকু পাওয়ার জন্য। পুরোনো ডিপোজিটের ক্ষেত্রে সুদ না পাওয়ার দুশ্চিন্তা থাকে না। এক্ষেত্রে সুদ যেমন পান, তাই পাবেন। এবং ডিপোজিট আগেভাগে ভেঙে নেওয়ারও দরকার নেই, তাই ম্যাচুরিটির নিয়ম না মানার জন্য পেনাল্টিও দিতে হয় না।
সবচেয়ে জরুরি কথাটি হচ্ছে, আচম্বিতে টাকার প্রয়োজন হলে, FDOD দিয়ে সাময়িক প্রয়োজন সহজেই মেটাতে পারবেন। খুব সামান্য চেষ্টায় ওভারড্রাফ্ট নেওয়া যায়, ন্যূনতম ‘পেপারওয়ার্ক’ করেই তা সম্ভব। ওভারড্রাফ্ট সুবিধা নিলে বেশিরভাগ ব্যংকই আলাদা চেকবুক, ইন্টারনেট ব্যাংকিং এবং মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা দেয়। যদি রিপেমেন্ট করে দেন, তাহলে সংশ্লিষ্ট ডিপোজিটটি আবার লোনের ভারমুক্ত হয়ে যায়। তবে মনে রাখুন, রিপেমেন্ট না হওয়া পর্যন্ত ডিপোজিটটি ভাঙতে পারবেন না। সুতরাং ‘প্রিম্যাচিওর ক্লোজিং’ সম্ভব হয় না।