বিভিন্ন সংস্থার বন্ডে সরাসরি লগ্নি করতে চান? দেখে নিতে হবে কোন ঋণপত্রে ঝুঁকি কতটা, কোথায় তুলনায় বেশি সুদ পাওয়া যেতে পারে, অথবা প্রোমোটারদের নাম তথা বিশ্বাসযোগ্যতা ঠিক কেমন। বাজারে সবসময়ই একগুচ্ছ সংস্থার নাম ভেসে আসে, আজকের ঋণপত্রের আঙিনায় এদের নাম এই মুহূর্তে কম-বেশি জনপ্রিয়। বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে এই বিষয়টি নিয়ে আলোকপাত করছে টিম সঞ্চয়।
যে শর্তগুলো বিশেষভাবে পরখ করা উচিত:
১. ইস্যু সংস্থাটি কি ধরনের? ব্যবসাবাণিজ্যই বা কী রকম করে?
২. ক্রেডিট রেটিং কোন শ্রেণীর? নির্ভরযোগ্যতার মান কেমন?
৩. বন্ডের “কুপন রেট” (সুদের হার) কেমন?
৪. YTM অথবা ইল্ড টু ম্যাচুরিটি কত?
৫. ম্যাচুরিটির তারিখ কী? অর্থাৎ, মেয়াদ সংক্রান্ত তথ্য লাগবে এখানে।
৬. সুদ পাওয়ার “ফ্রিকোয়েন্সি” কেমন? মাসে/কোয়ার্টারে/ বছরের হিসাব কী ধরনের?
লগ্নিকারীদের এও জেনে রাখা উচিত যে, বন্ডের ক্ষেত্রে দুই প্রধান চ্যালেঞ্জ আসতে পারে সুদের হারের তারতম্য এবং ক্রেডিট সংক্রান্ত ঝুঁকির তরফ থেকে। তার মানে সুদের হারে যদি পরিবর্তন আসে, তা বিনিয়োগকারীর পক্ষে সর্বদা ইতিবাচক নাও হতে পারে। এছাড়া যদি ‘ডিফল্ট’ হয়, তাতে বন্ডহোল্ডারদের বিলক্ষণ অসুবিধা হবে। সময়মতো সুদ না পেলে অথবা প্রিন্সিপাল (মূল টাকা) ফেরৎ না এলে, বন্ডহোল্ডাররা বিপাকে পড়েন। ভালো সংস্থার ঋণপত্র অবশ্য ডিফল্ট করে না, ঠিকই সময়সূচি অনুসারে ইন্টারেস্ট দেওয়া হয়। তবে সব মিলিয়ে ইন্টারেস্ট রেট রিস্ক এবং ক্রেডিটজনিত রিস্ক, সব ধরনের বিনিয়োগকারীর পক্ষেই বিপজ্জনক।
সঙ্গের তালিকায় একাধিক শ্রেণির ইস্যুর মধ্যে থেকে কয়েকটি বিশেষ বন্ডের কথা বলা হল। তথ্য শেয়ার করেছে ওয়েলথ ম্যানেজমেন্ট এবং অ্যাডভাইসরি সংস্থা সেনট্রিসিটি।
চার্ট