সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার অর্থাৎ আগামী ৪ মার্চ তিথি মেনে মহা শিবরাত্রি পালন করতে চলেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। শুধু মহিলারাই নন, এই ব্রত পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে সকলেই পালন করে থাকেন। হিন্দু শাস্ত্র মতে এই দিনেই শিব ও পার্বতী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তাই ভক্তদের বিশ্বাস, এই পূণ্যতিথি পালন করলে সমস্ত পাপ থেকে নিষ্কৃতি মেলে। সংসারে শান্তি ফেরে এবং মোক্ষ লাভ হয়। আবার অনেকের বিশ্বাস, এদিন মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ করলে শক্তি বাড়ে। নির্দিষ্ট কিছু আচার-রীতি মেনেই এই বিশেষ দিনে হর-পার্বতীর পুজো করতে হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে মহা শিবরাত্রির ব্রত পালন করবেন।
[হারানো নদীই আসলে দেবী সরস্বতী?]
শাস্ত্র মতে, শিবরাত্রির দিন সকাল থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত উপবাস করেই পুজো করতে হয় ভক্তকে। তবে যিনি উপবাস করছেন, তিনি দুধ-ফল ইত্যাদি খেতে পারেন। কিন্তু সেসব খেতে হবে সূর্যাস্তের আগে। যাঁরা নিষ্ঠার সঙ্গে এই ব্রত পালন করেন, তাঁরা সারারাত জেগে থাকেন। চোখের পাতা এক করেন না। বরং রাত জেগে ভক্তিগীতি গেয়ে থাকেন। পরের দিন পুজোর প্রসাদ খেয়ে উপবাস ভঙ্গ করতে হয়। কথিত আছে, শিবরাত্রির দিন গঙ্গাস্নান করলে সমস্ত পাপ ধুয়ে যায়।
[সমস্যা দূর করতে গণেশ পুজোয় সিঁদুরের গুরুত্ব জানেন?]
এই দিন চার প্রহর ধরে মহাদেবের পুজো হয়। প্রথম প্রহরে জল দিয়ে, দ্বিতীয় প্রহরে দই দিয়ে, তৃতীয় প্রহরে ঘি এবং শেষ প্রহরে মধু দিয়ে শিবলিঙ্গের অভিষেক করতে হয়। শিবের পুজোয় অপরাজিতা, ধুতরো, আকন্দ ফুল এবং বেল পাতা অবশ্যই ব্যবহার করা উচিত। পুজো শেষ হলে মহাদেবের ১০৮টি নাম যোগ করতে হয়। তবে বর্তমানে অনেকেই ব্যস্ততার জন্য এবং স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এভাবে ব্রতী পালন করতে পারেন না। প্রায় একটা গোটা দিন উপবাস করা এবং সারারাত জেগে থাকা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত উপবাস করলেও হয়। স্নান করে শুদ্ধ বসনে সন্ধেয় শিবলিঙ্গে জল ও বেল পাতা নিবেদন করে পুজো করতে হয়। তারপর পুজোর প্রসাদ গ্রহণ করলেই ব্রত পালন করা সম্পন্ন হয়। রাত না জাগলেও কোনও দোষ হয় না। পুরোটাই মনের ভক্তি, বিশ্বাস ও নিষ্ঠার ব্যাপার।
The post কীভাবে মহা শিবরাত্রি ব্রত পালন করবেন? appeared first on Sangbad Pratidin.