সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিমবক্স (SIMBOX)। সারা দেশে গোয়েন্দা ও পুলিশদের মাথাব্যথা বাড়িয়েই চলেছে চিনা (China) এই বক্স। বুধবার রাতে শহরের অলিগলিতে হানা দিয়ে ‘জামতাড়া গ্যাং’-এর সঙ্গে জড়িত মোট ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছে এটিএম কার্ড, সিম কার্ড ইত্যাদির সঙ্গেই মিলেছে সিমবক্স। ফলে নতুন করে ফের প্রমাণিত দুষ্কৃতীদের সঙ্গে এই প্রযুক্তির সম্পর্ক কতটা নিবিড় হয়ে উঠছে।
কিন্তু কী এই সিমবক্স? কেন তা হাতিয়ার হয়ে উঠছে সাইবার জালিয়াতির? আসলে এটা এমন এক যন্ত্র যার সাহায্যে আন্তর্জাতিক কলকে লোকাল কল হিসেবে দেখানো যায়। আর সেই কারণেই এর ব্যবহার এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে অপরাধীদের কাছে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, সিমবক্স হল এক ধরনের সিম ব্যাংক। এর মধ্যে শতাধিক সিম কার্ড ঢোকানো যায়। বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিদেশ থেকে আসা কলকে লোকাল নম্বরে ডাইভার্ট করে দেওয়া যায় সিমবক্সের সাহায্যে। এর ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধকে লুকিয়ে রাখা যায়। এখানেই শেষ নয়। টাওয়ার লোকেশনও চিহ্নিত করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে যায়। তাছাড়া তুলনামূলক ভাবে কলের খরচও অনেক কম।
[আরও পড়ুন: Telegram App থেকে কীভাবে নিখরচায় ডাউনলোড করবেন সিনেমা, চটপট জেনে নিন]
এই বক্সে এমন বিশেষ পদ্ধতি ব্যবহার করা যায় যার সাহায্যে এই সিমের লোকেশন চিহ্নিত করা কিংবা সেটিকে ব্লক করাও সম্ভব হয় না। তাই অন্ধকার দুনিয়ার বাসিন্দাদের কাছে এর এত কদর। জঙ্গিরাও তাদের কার্যকলাপের ষড়যন্ত্র করার সময় সিমবক্সের সাহায্য নেয়। এছাড়াও অন্য়ান্য আর্থিক প্রতারণাতেও কাজে লাগানো হচ্ছে সিমবক্সকে।
সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) কাছে একাধিক আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়েছে। প্রায় প্রতিক্ষেত্রেই গ্রাহকদের কাছ থেকে ভুয়ো পরিচয়ে তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগ সময়েই ব্যাংকের ম্যানেজার পরিচয়ে গ্রাহকরা ফোন পান। তাঁদের থেকে সুকৌশলে এটিএম কার্ডের নম্বর-সহ নানা তথ্য জেনে নেওয়া হয়। তারপরই ব্যাংক থেকে উধাও হয়ে যায় টাকাপয়সা। আর এই প্রতারণায় কাজে লাগানো হচ্ছে সিমবক্সকে। তাই ক্রমেই এই চিনা যন্ত্রকে নিয়ে বাড়ছে চিন্তা।