দীপঙ্কর মণ্ডল: এবার কলকাতার কলেজে পোশাক বিতর্ক! ছেঁড়া জিনস পরে কলেজে আসা যাবে না। আদেশ অমান্য হলেই হাতে ধরিয়ে দেওয়া হবে টিসি। এমনই নোটিস নাকি দেওয়া হয়েছে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজে (Acharya Jagadish Chandra Bose College)। খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
কলেজের দেওয়ালে লাগানো হয়েছে নোটিস। ছাত্র-ছাত্রী ও কলেজের কর্মীদের উদ্দেশ্যে জানানো হয়েছে, কেউ যেন ছেঁড়া পোশাক বিশেষত ছেঁড়া জিনস পরে কলেজে না আসেন। এমন পোশাককে রূচিবিরূদ্ধ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। যদি ছেঁড়া জিনস বা পোশাক পরে আসা হয় তাহলে টিসি পর্যন্ত দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। নোটিসের নিচে অধ্যক্ষের সইও দেখা যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: সাতষট্টির প্রেমিকার সঙ্গে সহবাসে থাকতে চান, আদালতের দ্বারস্থ ২৮ বছরের যুবক]
যদিও এই নোটিস আদৌ কতটা সত্য সেই সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। কলেজের প্রিন্সিপালের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে, কলেজের (College) দেওয়ালে এই নোটিস দেখার পর থেকেই ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
অনেকে আবার এই ঘটনার সঙ্গে কর্ণাটকের হিজাব বিতর্কের মিল খুঁজে পাচ্ছেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি একটি নির্দেশিকা জারি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল কর্ণাটক (Karnataka) সরকার। তার পর থেকেই সে রাজ্যে হিজাব ইস্যুতে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিশেষ করে উদুপি জেলায় বিক্ষোভের জেরে স্কুল-কলেজগুলি রীতিমতো রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করেছিল। লাগাতার প্রতিবাদের জেরে বেশ কয়েকদিন স্কুল-কলেজ বন্ধও রাখতে হয় কর্ণাটক সরকারকে। সরকারের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করেন কয়েকজন মুসলিম পড়ুয়া। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করা যাবে না, এই মর্মে একাধিক মামলা করা হয়েছিল। সরব হয় বিরোধী দলগুলিও। সেই মামলাতেই কর্ণাটক হাই কোর্ট স্পষ্ট করে দেয় যে হিজাব ইসলামে বাধ্যতামূলক নয়।