অর্ণব আইচ: কলকাতার দাগি আসামির হাত ধরেই তৈরি হয় ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) দুমকায় অস্ত্র কারখানা। এর পিছনে রয়েছে কলকাতা পুলিশেরই (Kolkata Police) সাজাপ্রাপ্ত আসামি। চার বছর আগে সোনু নামে ওই যুবককে অস্ত্র আইনেই গ্রেপ্তার করেছিল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। কিন্তু তারপরও আবার পুলিশের চোখ এড়াতে সোনু কলকাতা থেকে অনেকটা দূরে দুমকায় তৈরি করেছিল মুঙ্গেরি অস্ত্র কারখানা। যদিও ফের কলকাতা পুলিশের এসটিএফের হাতে গ্রেপ্তার হয় সে।
বীরভূমের এক বেআইনি অস্ত্র পাচারকারীকে ময়দান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে উদ্ধার হয় অস্ত্র। সে সূত্র ধরেই দুমকায় হানা দিয়ে বেআইনি অস্ত্রের কারখানাটির সন্ধান পান STF আধিকারিকরা। অস্ত্র কারখানা চালানোর অভিযোগে বিহারের মুঙ্গেরের এক মহিলা-সহ ছ’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত ব্যক্তিদের কলকাতায় নিয়ে আসার পরই জানা যায় যে, তাদের পান্ডা মহম্মদ সোনু সাহুদ। মুঙ্গেরের হজরতগঞ্জের বাসিন্দা সে। তাকে দেখেই চিনতে পারেন গোয়েন্দারা।
[আরও পড়ুন: বালিগঞ্জে ভাইঝি সায়রার সমর্থনে নাসিরউদ্দিন, পরিবারতন্ত্রের অভিযোগে পালটা তৃণমূলের]
জেরার মুখে সোনু স্বীকার করে যে, STF -র হাতেই গ্রেপ্তার হয়েছিল সে। এক গোয়েন্দা আধিকারিক জানান, ২০১৮ সালের জুলাইয়ে বারাকপুরের জগদ্দল থানা এলাকার ছোট শ্রীরামপুর থেকে বেআইনি অস্ত্র কারখানার সন্ধান পায় এসটিএফ। প্রথমে ময়দান থানা এলাকা থেকেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে উদ্ধার হয় জাল নোট ও ৪০টি অসমাপ্ত অস্ত্র।
মালদহের একজন ও বিহারের দু’জনকে গ্রেপ্তার করে ওই অস্ত্র কারখানাটির খোঁজ মেলে। জগদ্দলে তল্লাশি চালিয়ে ছ’জন মুঙ্গেরের বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই কারখানা থেকে ফের উদ্ধার হয় অসমাপ্ত অস্ত্র, লেদ মেশিন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি। কারখানা থেকেই তখন ধরা পড়েছিল ওই মহম্মদ সোনু সাহুদ। এ ছাড়াও সাবির, শাহনওয়াজ, ফয়জল, রাজু ও চাঁদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখনই গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে, জাল নোটের বদলে বিক্রি হচ্ছে বেআইনি অস্ত্র। ধৃতদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশের পর চার্জ গঠন হয়। শুরু হয় শুনানি। সাজাপ্রাপ্ত হয় সোনু ও তার সঙ্গীরা। বছর দু’য়েক আগে জেল থেকে ছাড়া পায় সোনু। গোয়েন্দাদের মতে, এর মধ্যেই সে নতুন করে অস্ত্রের কারখানা তৈরির কাজ শুরু করে।