রমেন দাস: 'এক মাস তো হয়ে গেল, আর কতদিন লাগবে?' আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তদন্তে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে সিবিআই। জরুরি বিভাগের পাশের নর্মদা ক্যান্টিনে সিবিআই আধিকারিকদের ঘিরে প্রশ্ন করতে থাকেন কয়েকজন। এর পর সিবিআই আধিকারিকরা গাড়ি নিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরনোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বিক্ষোভের মুখে পড়ে ফের হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে আসতে বাধ্য হন তাঁরা। সোমবার সন্ধ্যায় আচমকা এই পরিস্থিতিতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় হাসপাতাল চত্বরে।
আদালতের নির্দেশে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (RG Kar Medical College) তরুণী চিকিৎসককে (Doctor's Death) ধর্ষণ করে খুন এবং আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে সিবিআই। তথ্যপ্রমাণ খুঁজতে হাসপাতালে তদন্তে যাচ্ছেন আধিকারিকরা। সোমবারও তদন্তের স্বার্থে আর জি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। ঘটনাস্থল অর্থাৎ তৃতীয় তলার সেমিনার রুমের দিকে যান তদন্তকারীরা। খতিয়ে দেখেন সবকিছু। এরপর এদিন সন্ধ্যায় জরুরি বিভাগের বিল্ডিংয়ের কাছে নর্মদা ক্যান্টিনের সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হয়। সিসিটিভি কোথায় কোথায় রয়েছে, কর্মীদের কাছে জানতে চান, সিবিআই আধিকারিকরা। ক্যান্টিনের দোতলায় যান তাঁরা। তখনই সিবিআইকে দেখে বিক্ষোভ শুরু হয়।
[আরও পড়ুন: দক্ষিণ দমদমে ডেঙ্গু আক্রান্তের মৃত্যু, ‘কর্মবিরতির জেরে চিকিৎসা মেলেনি’ দাবি তৃণমূলের]
কয়েকজন মহিলা এবং এক 'বহিরাগত' যুবক আধিকারিকদের ঘিরে প্রশ্ন করতে থাকেন। তাঁদের প্রশ্ন ছিল, "এক মাস তো হয়ে গেল, আর কতদিন লাগবে?" তদন্তকারীরা হাসপাতাল থেকে বেরতে গেলে বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, সিবিআই সব জানে। সব দেখতে পাচ্ছে। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। হাসপাতালের মূল গেট থেকে গাড়ি নিয়ে বেরতে গেলে তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয় ফের। ফলে সিবিআই আধিকারিকরা কার্যত গাড়ি ঘুরিয়ে ফের হাসপাতালের ভিতরে চলে আসেন। হাসপাতালের নতুন সুপারকে (MSVP) নিয়ে বেরতে যাচ্ছিলেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। পরে তাঁকে রেখেই বেরিয়ে যান তাঁরা। তবে এই বিক্ষোভকারীরা কারা, তাঁদের পরিচয় স্পষ্ট হয়নি এখনও।