শুভঙ্কর বাসু: পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে বিজেপি কর্মী মদন ঘড়ুইয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ বহাল রাখল কলকাতা হাই কোর্ট (Kolkata High Court)।
মামলা ও পালটা মামলার জেরে দ্বিতীয়বার শবদেহের ময়নাতদন্ত করাকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার চরম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মদনের দাদা স্বপন ঘড়ুই। প্রাথমিক শুনানির পর শুক্রবার দুপুরে মৃতদেহ দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজ শেখর মন্থা। কিন্তু সেদিন সন্ধেয় বিচারপতি মন্থার ওই নির্দেশে স্থগিতাদেশ চেয়ে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে বিশেষ আবেদন জানায় রাজ্য সরকার। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে মামলাটি ফের বিচারপতি মন্থার এজলাসে ফিরিয়ে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।
[আরও পড়ুন: মণ্ডপে ‘নো এন্ট্রি’, বাড়িতে বসে মোবাইল অ্যাপেই প্রতিমা দর্শনের ব্যবস্থা প্রশাসনের]
এদিন সেই মামলার শুনানি শেষে ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ বহাল রেখেছেন বিচারপতি মন্থা। নির্দেশে তিনি জানিয়েছেন, আরজি কর হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ময়নাতদন্তের জন্য তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্যানেল তৈরি করবেন। ওই প্যানেলের তত্ত্বাবধানে ময়নাতদন্ত করতে হবে। মুখ বন্ধ খামে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ১৯ নভেম্বর ফের মামলার শুনানি।
মামলাকারীর আইনজীবী ব্রজেশ জানিয়েছেন, নিয়ম অনুযায়ী এক্ষেত্রে কোনও দায়রা বিচারক বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত করা হয়নি। বদলে যেটি করেছেন একজন অতিরিক্ত কমিশনার পদের আধিকারিক। এছাড়াও হেফাজতে মৃত্যুর ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের একটি ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর’ বা এসওপি রয়েছে। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে এ ধরনের মৃত্যুর ক্ষেত্রে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের একটি প্যানেল তৈরি করতে হবে এবং তারাই ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করবেন। কিন্তু সেই এসওপিও রাজ্য সরকার মানেনি। রাজ্যের অবশ্য দাবি, প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না দেখেই দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এদিন আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে তা মানা হবে।