অর্ণব আইচ: গরম প্রযুক্তি মানে না। কিন্তু এই বছর প্রযুক্তি দিয়েই গরমকে বাগে আনতে মরিয়া কলকাতার ট্রাফিক (Traffic Police) পুলিশ। প্রত্যেক বছর প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করতে করতেই রাস্তায় ডিউটি করতে ট্রাফিক পুলিশকর্মী ও আধিকারিকরা। তাঁদের সুবিধার জন্য জল, গ্লুকোজ, ওআরএসের মতো প্রয়োজনীয় জিনিস ডিউটির সময় দেওয়া হয়। এই বছরও তা হচ্ছে। কিন্তু তার সঙ্গে গুরুত্ব পাচ্ছে প্রযুক্তি (Technology)। যার হাত ধরে ট্রাফিক পুলিশের কাজ আর এতটা কষ্টকর থাকবে না।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত এক বছরের উপর ধরে কলকাতায় ট্রাফিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা অনেকটাই উন্নত হয়েছে। কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার সংযোগস্থলগুলিতে রয়েছে প্রায় স্বয়ংক্রিয় ও স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল (Signal)। তার সঙ্গে রয়েছে টাইমার। ফলে দিনের যে কোনও সময়ই রাস্তার সংযোগস্থলে ট্রাফিক আইন মেনে দাঁড়াতে হয় গাড়িকে। আবার সেই নিয়ম লঙ্ঘন করারও উপায় নেই। কারণ, সংযোগস্থলগুলিতে রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা (CCTV Camera)। কেউ ট্রাফিক সিগন্যাল ভেঙে এগোলেই সেই ছবি ধরা পড়ে যাবে। গাড়ির মালিকের কাছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে যাবে মেসেজ।
[আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্ব ভারতেও জাল বুনছে আল কায়দা, অসমের মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার ৬ জেহাদি]
ট্রাফিকের এক আধিকারিক জানান, ট্রাফিক এখন অনেকটাই প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ায় সুবিধা হয়েছে। সবসময় ট্রাফিক পুলিশকে রাস্তায় না নামলেও হয়। তাই কলকাতার ট্রাফিক গার্ডগুলিকে লালবাজারের পক্ষে বলা হয়েছে, বাইরে প্রচণ্ড গরম থাকলে ট্রাফিক পুলিশকর্মীরা ট্রাফিক পোস্ট বা সিগন্যাল পোস্টে বসেও কাজ করতে পারেন। এতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা গেলে কোনও সমস্যা হবে না। সেই ক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশকর্মীদের সবসময় রাস্তায় না নামলেও চলে। যদি কোনও কারণে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয় অথবা মিছিলের জন্য গাড়ির গতি কমে যায়, তখন সিগন্যাল ব্যবস্থার উপর ভর করে থাকা চলে না। তখন ট্রাফিক পুলিশকর্মীদের রাস্তায় নেমেই ট্রাফিক সামলাতে হবে।
[আরও পড়ুন: গোটা দেশের উপনির্বাচনে শূন্য পেল বিজেপি, পাঁচ আসনেই জয়ী বিরোধী শিবির]
এই পরিপ্রেক্ষিতে এক ট্রাফিক কর্তা জানিয়েছেন, লালবাজারের (Lalbazar) পক্ষ থেকে রাস্তায় কর্তব্যরত ট্রাফিক কনস্টেবলদের ওআরএসের প্যাকেট, গ্লুকোজ, সানগ্লাস, জলের বোতল দেওয়া শুরু হচ্ছে। এদিকে, লালবাজারের পক্ষ থেকে ট্রাফিক গার্ডের ওসিদের বলা হয়েছে, তাঁরা যেন রাস্তায় বেরিয়ে খবর নেন, কোনও ট্রাফিক পুলিশকর্মীর সমস্যা হচ্ছে কি না। কেউ যদি গরমে অসুস্থ বোধ করেন, সঙ্গে সঙ্গেই যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। নজর রাখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজের উপর।