সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিপজ্জনক অবস্থার জন্য শহরের একাধিক সেতু দিয়ে যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। বিজন সেতু, অরবিন্দ সেতু, চিংড়িঘাটা উড়ালপুলের মতো অনেক সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে মেরামতির ব্যবস্থা করেছে কেএমডিএ। এবার নজরে হাওড়া ব্রিজ। কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের তরফে খবর, ক্রমশ ভারী হয়ে পড়ছে রবীন্দ্র সেতু। তাই এর ওজন কমাতে হবে শীঘ্রই। এর জন্য পিচের আস্তরণ তুলে অন্য কোনও উপাদান নিয়ে রাস্তা করা যায় কিনা, তা ভাবনাচিন্তা করছে পোর্ট ট্রাস্ট।
রাস্তা মেরামতির জন্য সেতুর উপরের রাস্তায় পড়তে থাকে পিচের আস্তরণ। সম্প্রতি কয়েকটি সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে ক্রমশ পিচের আস্তরণ চাপতে থাকায় সেতুর ওজন বেড়ে যায়। সেই একই সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে হাওড়া ব্রিজ। তাই পিচের আস্তরণ সরিয়ে অন্য সেতুর ওজন কমানো যায় কিনা তা দেখতে চায় কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, এই নিয়ে নাকি একটি সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তাও হয়েছে। খুব শীঘ্রই তারা নমুনা দেখাবে পোর্ট ট্রাস্টকে। সূত্রের খবর, এই পদ্ধতিতে পুরনো পিচের আস্তরণ তুলে ফেলা হবে। কিন্তু নতুন করে পিচ ঢালা হবে না। তার একটি রাসায়নিক পদার্থের আস্তরণ তৈরি করা হবে। এর ফলে সেতুর ওজন কমার সম্ভাবনা থাকছে। তবে এখনই এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
[ আরও পড়ুন: চুয়াল্লিশ হাজারি ইঞ্জেকশনেই জীবনের পথে ফিরলেন বৃদ্ধা, নজির সরকারি হাসপাতালের ]
শোনা যাচ্ছে, এই সপ্তাহেই কাজ শুরু করার কথা ভাবছে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে এর জন্য হাওড়া ব্রিজের মতো একটি ব্যস্ততম সেতুতে যানজট হবে না বলেই জানা গিয়েছে। পোস্ট ট্রাস্ট সূত্রের খবর, সেতুর একটি অংশ ঘিরে রেখে সেখানে কাজ চলবে। তারপর অন্য অংশে কাজ করা হবে। এছাড়া গভীর রাতে কাজ হওয়ার কথা। ফলে যানজটের আশঙ্কা থাকবে না বলেই খবর।
তবে পিচ তুলে ফেলার সিদ্ধান্ত অবশ্য শুধু হাওড়া ব্রিজের ক্ষেত্রেই ঘটবে, এমনটা নয়। মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার পর ন্যাশনাল টেস্ট হাউস যে রিপোর্টটি পেশ করেছিল, সেখানেও পিচের ফলে সেতুর ওজন বৃদ্ধির কথা উল্লেখ ছিল। এছাড়া উল্টোডাঙায় দুর্গাপুর সেতুর ক্ষেত্রেও ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার দরুন পিচ তুলে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে খবর।
[ আরও পড়ুন: স্পায়ের আড়ালে রমরমিয়ে মধুচক্রের আসর, পুলিশের জালে দুই খদ্দের-সহ ৫ ]
The post হাওড়া ব্রিজের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ, ওজন কমানোর ভাবনা কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের appeared first on Sangbad Pratidin.