নব্যেন্দু হাজরা: দিনভর আকাশের মুখভার ছিলই। পূর্বাভাসও ছিল বৃষ্টি (Rain) হওয়ার। তবে ভারী বৃষ্টির দেখা মেলেনি দিনের বেলায়। বুধবার রাতে বদলে গেল পরিস্থিতি। রাত থেকে কলকলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে প্রবল বৃষ্টি। যার ফলে জলমগ্ন শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, বুধবার রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত একটানা ভারী বৃষ্টি চলেছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে মোমিনপুরে। ১৭৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে সেখানে। তারপরেই রয়েছে কালীঘাট। সেখানে ১৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বেহালা ফ্লাইং ক্লাবে ১৬৩ মিলিমিটার, বালিগঞ্জে ১৪৮ মিলিমিটার, উল্টোডাঙায় ৮৪ মিলিমিটার, বেলগাছিয়ায় ৮২ মিলিমিটার, মাণিকতলায় ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। জলের তলায় চলে গিয়েছে কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ। বেহালা, পার্ক সার্কাস, কলেজ স্ট্রিটে জল থইথই। কোথাও হাঁটুজল আবার কোথাও গোড়ালি ভেজা জলে ডুবেছে রাস্তা। কলকাতা পুরসভা (KMC) সূত্রে খবর, জোয়ারের জন্য লকগেট বন্ধ। তাই জল নামতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। সেক্ষেত্রে আরও বৃষ্টি হলে পরিস্থিতির যে অবনতি হবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
[আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলা এবং উন্নয়নে রাজ্যের পাশেই আছে কেন্দ্র, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করবে BJP]
এদিকে, হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এখনই বৃষ্টি কমার সম্ভাবনা নেই। উলটে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা-সহ (Kolkata) দক্ষিণবঙ্গে চলবে বৃষ্টি। আগামী ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে কলকাতা-সহ হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়ায় বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে, রাতভর বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রার পারদও নেমেছে বেশ খানিকটা। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৬ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। আগামী কয়েকদিন তীব্র গরমের হাত থেকে এভাবে মুক্তি মিলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।