ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: শুধু এক মেগা ইভেন্ট নয়, একুশে জুলাই তৃণমূলের কাছে তুমুল আবেগ। ফি বছর সেই আবেগ থেকেই সমস্ত প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে শহিদ তর্পণের আয়োজন করে থাকে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এবার একুশে জুলাইয়ের আগের দিন, রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ ধর্মতলায় সেই শহিদ দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯৯৩ সালের এই রক্তাক্ত দিনের ইতিহাস স্মরণ করে সকলের উদ্দেশে তাঁর আহ্বান - ''সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি ঝড়-জল হলেও আসবেন, বর্ষা হলেও আসবেন। কাল বৃষ্টি হবেই। আমরাও আসি। সবার কাছে আহ্বান রইল। শান্তিপূর্ণভাবে আসবেন, ফিরবেন।'' নেত্রীর আরও সংযোজন, ''২১ জুলাইয়ের অনুষ্ঠান চিরকাল চলবে। চিরকাল আপনারা আসেন, আসবেন।'' প্রতি বছরই এই দিনটিতে ধর্মতলা চত্বর কার্যত জনসমুদ্রে পরিণত হয়। দূরদূরান্ত থেকে 'দিদি'র ডাকে দলের নেতা-কর্মী তো বটেই, ছুটে আসেন সাধারণ সমর্থকরাও। তাঁদের যাতায়াত যাতে নির্বিঘ্নে হয়, সেদিকে বরাবর খেয়াল থাকে তৃণমূল নেত্রীর।
এদিনও মমতা ধর্মতলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে তা মনে করিয়ে দিলেন দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের। তাঁর কথায়, ''ঝড়-জল হলেও আসবেন আপনারা। বর্ষায় ভেজা আমাদের অভ্যাস। সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি আসার জন্য। এই দিনে যাঁরা জীবন দিয়েছেন, তাঁদের চোখের অশ্রু আমরা দেখতে পাই। পাহাড় থেকে জঙ্গল সবাই আসছেন। সবাই প্রশাসনকে সাহায্য করুন।প্রশাসনকেও বলব, ভিড়ের জন্য ৩ কিলোমিটার আগে কাউকে দাঁড় করিয়ে দেবেন না। বরং সাইড করে বাঁশ দিয়ে দিন। আবার এমনও করবেন না যাতে ফেরার পথে তাঁদের অসুবিধা না হয়।'' রাতটুকু পেরলেই একুশের সকাল। খোলা আকাশের নিচে ধর্মতলার সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতা আর কী কী বার্তা দেন, তা শুনতে অধীর অপেক্ষায় জনতা।
