গোবিন্দ রায়: বছর দুয়েক আগে বারুইপুর জেলে সাতদিনে ৪ বন্দির মৃত্যু হয়। তদন্তে নামে সিআইডি। জমা পড়ে একাধিক রিপোর্টও। সেই কাণ্ডে এবার ফের সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। শুনানিতে পুলিশ ও সিআইডির দেওয়া রিপোর্ট খারিজ করে দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি, রাজ্যের থানাগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
শুনানিতে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়ে সিআইডি, পুলিশ। তদন্তে বিভিন্ন অসঙ্গতি নিয়ে প্রশ্ন উঠে। ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও সিআইডির তরফে আদালতে জানানো হয়, ড্রাগ উইথড্রয়াল সিনড্রোমের সমস্যার জেরে বন্দিরা নিজেদের মধ্যে মারপিট করে। তার জেরে আহত হওয়ায় তাদের মৃত্যু হয়। কোনও অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেনি। তবে এদিনের শুনানিতে বিচারপতিরা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট তুলে ধরে দেখান যে, একেকজনের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তারপরই এযাবৎ জমা পড়া সমস্ত তদন্ত রিপোর্ট বাতিল করে সিআইডিকে নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতির বেঞ্চ সিআইডি ডিআইজিকে নির্দেশ দিয়েছে, একজন নিরপেক্ষ অফিসারকে দিয়ে নতুন করে তদন্ত করিয়ে ৬ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে।
বিভিন্ন থানায় সিসিটিভি কার্যকর না থাকায় ডিজিপির উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ''ডিজিপির মতো একজন সিনিয়র অফিসারকে আমরা শেখাতে চাই না কীভাবে থানা চালাতে হবে।'' প্রত্যেক থানায় সিসিটিভি যাতে সক্রিয় থাকে এবং প্রয়োজনে কাজে লাগে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিয়ে সাপ্তাহিক রিপোর্ট তৈরি করতে বলেছেন বিচারপতিরা। পাশাপাশি রেকর্ডিং এবং স্টোরেজ ডিভাইসগুলি ঠিকমতো কাজ করছে কি না তা দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। যদি কোনও থানা সিসিটিভি সংক্রান্ত নিয়মাবলি অমান্য করে সেক্ষেত্রে পদক্ষেপ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
