অর্ণব আইচ: টালিগঞ্জে (Tollygunge) শ্বশুরবাড়িতে ‘আত্মঘাতী’ অন্তঃসত্ত্বা বধূ। ঘর থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে দেহ। সুইসাইড নোটে শাশুড়িকেই আত্মহত্যার জন্য দায়ী করেছেন মৃতা। পুলিশের জালে মহিলার স্বামী ও শাশুড়ি।
জানা গিয়েছে, মৃতার নাম পুজা চন্দ। বয়স মাত্র ২০ বছর। টালিগঞ্জের বাসিন্দা সঞ্জয় চন্দর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। বর্তমানে ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তিনি। এই অবস্থাতেই বৃহ্স্পতিবার সন্ধে ৮ টা নাগাদ শ্বশুরবাড়িতে গলায় গামছার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয় ওই তরুণীর দেহ। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। সঙ্গে সঙ্গে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলে যোগ দেবেন হাওড়া সদরের বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা সুরজিৎ সাহা? তুঙ্গে জল্পনা]
সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এদিকে পুজার দেহের পাশ থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার করে পুলিশ। সেখানেই মেলে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সুইসাইড নোটে মৃত্যুর জন্য শাশুড়িকে দায়ী করেন তিনি। অভিযোগ, শাশুড়ি অকথ্য অত্যাচার করত, যার জেরে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
জানা গিয়েছে, বিয়ের পর থেকেই পুজার উপর অত্যাচার চালাত শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। পণের জন্য চাপ দেওয়া হত। সেই কারণেই আত্মহত্যার পথে বেছে নেন। মৃতার বাবা মেয়ের শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছে আত্মঘাতী হয়েছেন পুজা। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও মেলেনি। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।