নব্যেন্দু হাজরা: একদিনে জোড়া বিভ্রাট কলকাতা মেট্রোয়। শুক্রবার বিকেলে নেতাজি ভবন মেট্রো স্টেশনে এক ব্যক্তির আত্মহত্যার চেষ্টা ঘিরে ব্যাহত হয় ব্লু লাইনের পরিষেবা। আর সন্ধ্যে ঘনাতেই জয়হিন্দ বিমানবন্দর মেট্রো স্টেশন ডুবে গেল আঁধার! গোটা স্টেশনে লোডশেডিং। মোবাইলের টর্চ জ্বেলে যাত্রীদের যাতায়াত করতে হয়। চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি মেট্রো স্টেশনে। ।যাত্রীদের ক্ষোভ আছড়ে পড়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষের উপর। মেট্রো সূত্রে খবর, ইন্টারনাল পাওয়ারে সমস্যা হওয়ায় এহেন পরিস্থিতি।
শুক্রবার সময় তখন সন্ধ্যে প্রায় সাড়ে ৭টা। আচমকাই অন্ধকার হয়ে যায় কলকাতা মেট্রোর ইয়েলো লাইনের জয়হিন্দ বিমানবন্দর স্টেশনটি। বন্ধ হয়ে যায় লিফট, এস্কেলেটর। যাত্রীরা মুহূর্তের মধ্যে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে এমনটা হয়েছে বলে জানানো হয় মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে। টানা প্রায় ২০ মিনিট এমন অন্ধকার অবস্থায় আটকে ছিলেন যাত্রীরা। কখনও নিজেদের মোবাইলের টর্চ জ্বালিয়ে যাতায়াত করতে হয় তাঁদের। চূড়ান্ত অসন্তোষ দেখা দেয় যাত্রীমহলে।
রাত ৮টা নাগাদ ফের আলো জ্বলে ওঠে মেট্রো স্টেশনে। কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, জয়হিন্দ বিমানবন্দর, যশোর রোড এবং দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে ইন্টারনাল পাওয়ার ব্লকের কারণে এমনটা ঘটেছে। তবে এর জন্য মেট্রো চলাচলে কোনও প্রভাব পড়েনি। পুজোর আগে কলকাতা মেট্রোর ইয়েলো লাইন চালু হলেও এই রুটে দীর্ঘক্ষণ পরপর মেট্রো চলে। তবে শুক্রবারের মতো অন্ধকারে ডুবে যাওয়ার ঘটনা এর আগে কখনও ঘটেনি।
এদিনই বিকেলে নেতাজি ভবন মেট্রো স্টেশনে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় অনেকক্ষণ ব্যাহত হয় মেট্রো পরিষেবা। মাঝে ময়দান থেকে মহানায়ক উত্তমকুমার পর্যন্ত মেট্রো বন্ধ ছিল। অফিস ফেরতা যাত্রীরা চরম বিপাকে পড়েন। পরে অবশ্য ব্লু লাইনের আপ ও ডাউন লাইনে স্বাভাবিক হয় পরিষেবা।
