অর্ণব আইচ: ফের জেল হেফাজতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ সাতজন। ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ আলিপুর আদালতের। আগামী ১৯ জানুয়ারি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানি। বৃহস্পতিবার সওয়াল জবাব চলাকালীন মামলার তদন্তের গতি নিয়ে সিবিআইকে খোঁচা বিচারকের।
জেল হেফাজত শেষে বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে তোলা হয় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য-সহ সাতজন। মামলার সওয়াল জবাবের শুরুতেই তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে কার্যত উষ্মাপ্রকাশ করেন বিচারক। বাংলার প্রথম সেমি হাইস্পিড বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের গতির প্রসঙ্গ তুলে সিবিআইয়ের আইনজীবীর উদ্দেশে তিনি বলেন, “তদন্তের গতি বাড়ান। দুন এক্সপ্রেস থেকে বন্দে ভারত না হলেও অন্তত শতাব্দী এক্সপ্রেসের গতিতে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করুন।”
[আরও পড়ুন: হল না জামিন, গরু পাচার মামলায় ফের জেল হেফাজতে অনুব্রত ও সায়গল]
এদিন সওয়াল জবাব চলাকালীন নিয়োগ দুর্নীতিকে আরও একবার বৃহত্তর ষড়যন্ত্র বলেই উল্লেখ করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায়, তদন্ত এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও কয়েকজনের যোগসাজশ পাওয়া গিয়েছে। বহু চাকরিপ্রার্থীকে টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। একথা শুনে বিচারক কিছুটা বিস্ময়প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “এত বড় দুর্নীতি হয়েছে বলছেন, তা হলে এই ঘটনায় তড়িঘড়ি অভিযুক্তদের প্রকাশ্যে নিয়ে আসুন।”
এদিকে, এদিন আরও একবার জামিনের আবেদন জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেলকে (পার্থ চট্টোপাধ্যায়) ‘বলির পাঁঠা’ করা হয়েছে। তবে পার্থর জামিনের বিরোধিতা করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। শেষমেশ পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত সাতজনকে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। আগামী ১৪ দিন আপাতত জেলেই থাকতে হবে তাঁদের। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৯ জানুয়ারি।