সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার কাঠগড়ায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ (National Medical College)। অভিযোগ, গাফিলিতির জেরে ওই হাসপাতালের ওয়ার্মারে ঝলসে গিয়েছে ১১ দিনের একটি শিশু। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। সূত্রের খবর, বর্তমানে সুস্থ রয়েছে শিশুটি।
জানা গিয়েছে, ২ জুলাই বারুইপুরের একটি হাসপাতালে জন্ম হয় ওই শিশুটির। জন্মের পর থেকে অসুস্থ ছিল খুদে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে ধরা পড়ে জন্ডিস। বারুইপুরের হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, তাঁদের কাছে চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। এরপরই খুদেকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসে পরিবারের সদস্যরা। বেশ কয়েকদিন ধরেই সেখানেই চিকিৎসা ছিল খুদের। রাখা হয়েছিল ওয়ার্মারে। শুক্রবার হঠাৎ পরিবারের সদস্যদের নজরে পড়ে যে শিশুটির শরীরের একাধিক জায়গায় ঝলসে লাল হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে জানানো হয় চিকিৎসকদের।
[আরও পড়ুন:মন্ত্রীদের দায়িত্ব নেওয়া নিয়েও ভুলে ভরা টুইট! নেটদুনিয়ায় হাসির খোরাক বঙ্গ বিজেপ]
জানা গিয়েছে, ওয়ার্মারের তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণেই খুদের শরীরের একাধিক অংশ ঝলসে গিয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাসপাতালে। শিশুটিকে নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে পরিবার। বর্তমানে মা রয়েছে তার সঙ্গে। তবে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, খুদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীলই রয়েছে। যদিও হাসপাতালের সুপারের দাবি, ঝলসে যাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুয়ো। এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “হাসপাতালে সিস্টার দেখেন বাচ্চাটির গা গরম হয়েছে। গা পুড়ে যাচ্ছে। তখন তাপ মাপা হয়। দেখা যায় ১০২.২ বা ৩৯ ডিগ্রি সেন্ট্রিগ্রেড। সাধারণত ওয়ার্মারের তাপমাত্রা থাকে ৩৬.৫ থেকে ৩৭.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে। সেক্ষেত্রে বলা যায়, সামান্য বেড়ে গিয়েছিল ওয়ার্মারের তাপমাত্রা।” গোটা বিষয়টি পর্যালোচনা করে স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেছেন, “মাত্র আট দিনের বাচ্চা। ওর ইনফেকশন ছিল। শুক্রবার দুপুর একটা থেকে দুটোর মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে। গোটা বিষয়টি দেখতে স্বাস্থ্য ভবন থেকে লোক পাঠানো হয়েছে।”