রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: দু’দিনের ঝটিকা সফরে একগুচ্ছ কর্মসূচি। একটি শেষ হওয়ার পর কালবিলম্ব না করে পরবর্তী গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া। সেই দ্রুততার সঙ্গেই শুক্রবার বীরভূমের জোড়া কর্মসূচির পর সোজা দক্ষিণেশ্বর (Dakshineswar) মন্দিরে এসে পৌঁছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মা ভবতারিণীর কাছে পুজো দেওয়ার পর বেরিয়ে এসে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তিনি বললেন, ”বাংলার মানুষের আশীর্বাদে আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন মোদি।” মন্দিরে দাঁড়িয়ে ফের শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় উৎসব পালনের বার্তা দিলেন অমিত শাহ (Amit Shah)।
বীরভূমের সিউড়ির (Suri) জনসভা থেকে আগামী লোকসভা নির্বাচনের জন্য দলকে টার্গেট বেঁধে দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলার ৪২টি আসনের মধ্যে ৩৫টি আসনে জিততে হবে। বীরভূমবাসীর কাছে তিনি আবেদন জানান, বাংলা থেকে ৩৫ আসন বিজেপির হাতে তুলে দেওয়া হোক। আবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করা হোক নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi)। তাহলে ২০২৫ অর্থাৎ এ রাজ্যে পরবর্তী বিধানসভা ভোটের আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী। এ নিয়ে তৃণমূল শিবিরে অবশ্য বিস্তর কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে। নির্বাচিত সরকার ‘ফেলে দেওয়া’ বিজেপিক বৃহত্তর ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন নেতানেত্রীরা।
[আরও পড়ুন: পুরুষাঙ্গের প্রতি আসক্তি, বৈঠকের ফাঁকে সঙ্গম! যৌনকেচ্ছায় ভরা মার্কিন প্রেসিডেন্টদের ইতিহাস]
এসব নিয়ে যখন চৈত্র সংক্রান্তির দুপুর, বিকেল তপ্ত হচ্ছে, ঠিক সেসময় সিউড়ি ছাড়েন অমিত শাহ। গাড়িতে সোজা চলে আসেন দক্ষিণেশ্বরে। নির্দিষ্ট সময় ছিল সন্ধে সাড়ে ৬টা। সেসময়েই দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পৌঁছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুজো দেন। তাঁর সঙ্গে সর্বক্ষণ ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী। দক্ষিণেশ্বর তাঁর সঙ্গে দেখা করেন অগ্নিমিত্রা পল, লকেট চট্টোপাধ্যায়। সকলে মিলেই পুজো দেন।
[আরও পড়ুন: অন্য নারীতে মন! মেয়ে-জামাইয়ের সাহায্যে যৌনাঙ্গ কেটে স্বামীকে ‘খুন’ স্ত্রীর]
এরপর মন্দির থেকে বেরিয়ে শাহ বলেন, ”যে ধরনের উচ্ছ্বাস এবং আনন্দ আমি বীরভূমের মানুষের মধ্যে দেখেছি তাতে কোনও আশঙ্কা নেই, ভারতীয় জনতা পার্টি ২০২৪ এ ৩৫টির বেশি আসন নিয়ে বঙ্গে জয়লাভ করবে। আমি আজ মায়ের পায়ে এই প্রার্থনা করে এসেছি বাংলার সমস্ত জনগণ সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক এবং শান্তিতে থাকুক। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক হোক। রাজ্যের সব জায়গায় ধার্মিক উৎসব মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে করতে পারে। কাউকে যাতে কোনও সন্ত্রাস বা হিংসার মুখোমুখি না হতে হয়। আমি আশাবাদী বাংলার জনতা আগামী দিনে উনিশের থেকেও ভাল আসন নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির পাশে থাকবে এবং বিজেপি আরও ভাল ফল করবে পশ্চিমবঙ্গে। বাংলার মানুষের আশীর্বাদ নিয়েই নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হবে।”