সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। শুক্রবার বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালত তাঁকে মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলায় বেকসুর খালাস ঘোষণা করল। তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, তথ্য প্রমাণের অভাবে মঙ্গলকোট হিংসা মামলায় অনুব্রত-সহ মোট ১০ জন বেকসুর খালাস করে দিল। এই মুহূর্তে অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত সন্দেহে আসানসোল জেলে বন্দি। আজই তাঁকে বিধাননগরের আদালতে পেশ করা হয়। সওয়াল-জবাবের পর অনুব্রতর বিরুদ্ধে যথাযথ তথ্য মেলেনি বলে জানান তাঁর আইনজীবী। সেই তাঁকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হল।
এদিন অনুব্রতর (Anubrata Mandal) আইনজীবী সৌভিক বসু জানান, ”আজ আমার মক্কেল অনুব্রত মণ্ডল এবং আরও কয়েকজন অভিযুক্তকে আদালত বেকসুর খালাস করেছে। মঙ্গলকোট হিংসা মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে মামলাকারীর আইনজীবীরা।” আদালত থেকে বেরিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের দাবি, ”আমাদের বেকসুর খালাস করল আদালত। সত্যের জয় হল। এটা ২০১০ সালের কেস। আমার ও আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা করেছিল। আজ মহামান্য আদালতে রায়ে আমরা বেকসুর খালাস পেলাম।” এরপরই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, পরবর্তী মামলাতেও এভাবেই মুক্ত হবেন? তাতে তাঁর আত্মবিশ্বাসী উত্তর, ”আমি কি অন্যায় কিছু করেছি নাকি? খালি দেখতে থাকুন কী হয়।”
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের বকেয়া আরও ৭ হাজার কোটি টাকা, হিসেব দিয়ে জানাল নবান্ন]
গত ২০১০ সালের ৫ মার্চ মঙ্গলকোটের (Mangalkot) লাখুরিয়ার মল্লিকপুর গ্রামে বিস্ফোরণ হয়। তাতে কেবুলাল শেখ নামে এক ব্যক্তি জখম হন। এই ঘটনায় চার্জশিট দেয় মঙ্গলকোট থানা। তাতেই অনুব্রত মণ্ডল কেতুগ্রামের (Ketugram) বিধায়ক শেখ শাহনাওয়াজ, নানুরের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ-সহ ১৫ জনের নাম ছিল। এই মামলাতেই গত বৃহস্পতিবার বি এমপি-এমএলএ আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয় অনুব্রতকে। সেদিন শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত ছিল। আজ রায় ঘোষণা হবে বলে জানিয়েছিলেন বিচারক।
[আরও পড়ুন: বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বিশ্বজনীন করতেই পুজো অনুদান, হাই কোর্টে জানাল রাজ্য]
সেইমতো এদিনও সকালে আসানসোল থেকে কলকাতায় (Kolkata) আসেন। প্রিজন ভ্যানের বদলে তাঁকে গাড়ি করে আনা হয়। আসার পথেই তিনি আত্মবিশ্বাসী সুরে জানান, দিদি পাশে আছে, এটাই যথেষ্ট। আর আদালতের রায়েও সেই আত্মবিশ্বাস তাঁর শরীরী ভাষায়।