shono
Advertisement

কলকাতার মার্কিন দূতাবাসের ছবি তুলে পাঠান আত্মীয়াকে, নিয়ম ভেঙে বিপাকে বাংলাদেশি

‘সন্দেহভাজন’ যুবককে দফায় দফায় জেরা করে পুলিশ।
Posted: 01:24 PM May 23, 2023Updated: 01:24 PM May 23, 2023

অর্ণব আইচ: কলকাতার মার্কিন দূতাবাসের ছবি তুলে বিপাকে বাংলাদেশি (Bangladeshi)। আমেরিকায় (America) যাওয়ার জন‌্য ‘সস্তার দালাল’-এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে আসেন মহম্মদ মিজানুর রহমান নামে বাংলাদেশের ওই বাসিন্দা। তিনি যে কলকাতার মার্কিন দূতাবাসে এসেছেন, তার ‘প্রমাণ’ রাখতেই সেই ছবি তুলে ফেসবুক মেসেঞ্জারে আমেরিকায় আত্মীয়াকে পাঠান। এর পরই তোলপাড় হয় কলকাতার পুলিশ মহলে। ‘সন্দেহভাজন’ ব‌্যক্তি হিসাবেই তাঁকে নিয়ে আসা হয় শেক্সপিয়র সরণি থানায়। চলে আসেন কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারাও। দফায় দফায় তাঁকে জেরা করা হয়।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ২৬ বছর বয়সের ওই যুবক মহম্মদ মিজানুর রহমান বাংলাদেশের মেহেরপুরের গাংনি থানা এলাকার নিশিপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর আত্মীয়া অদিতি মেহেক রহমান থাকেন আমেরিকার ভার্জিনিয়ায়। আত্মীয়ার সঙ্গে দেখা করতে তিনি আমেরিকায় যেতে চান। কিন্তু বাদ সাধে বাংলাদেশের দালাল। তাঁকে বলা হয়, ঢাকা থেকে আমেরিকা যেতে গেলে ১৮ লাখ বাংলাদেশি টাকা লাগবে। যদিও এতে নিরুৎসাহ না হয়ে মিজানুর ও তাঁর আত্মীয়া খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, কলকাতার দালালরা অনেক সস্তায় আমেরিকায় যাওয়ার জন‌্য ভিসার ব‌্যবস্থা করে দেয়। মিজানুর তাঁর পরিচিতদের কাছ থেকে হরিশ নামে কলকাতার এক দালালের সন্ধান পান। বাংলাদেশ থেকে ফোনে তিনি হরিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সে তাঁকে কলকাতায় আসতে বলে। এই ব‌্যাপারে ওই আত্মীয়া আমেরিকা থেকে তাঁকে ‘গাইড’ করতে থাকেন। রবিবারই কলকাতায় আসেন মিজানুর।

[আরও পড়ুন: নয়া ‘নোটবন্দি’তে লাভ দেশের ব্যাংকগুলির, বাড়বে আমানতের পরিমাণ, দাবি বিশেষজ্ঞদের]

সোমবার সকাল দশটা নাগাদ হো চি মন সরণিতে মার্কিন দূতাবাসের সামনে চলে আসেন। দালাল হরিশের জন‌্য অপেক্ষারত অবস্থায়ই মার্কিন দূতাবাসকে পিছনে রেখে তুলে ফেলেন সেলফি। পুলিশের কাছে মিজানুরের দাবি, তিনি যে মার্কিন দূতাবাসের কাছে এসেছেন, সেই প্রমাণ দিতেই ওই ছবি তোলেন। জানতেন না যে, মার্কিন দূতাবাসের ছবি তোলা নিষিদ্ধ। ওই ছবি তিনি ফেসবুক মেসেঞ্জারে আত্মীয়কে পাঠানোর পর তা চোখে পড়ে মার্কিন গোয়েন্দাদের। সঙ্গে সঙ্গেই তা কলকাতা পুলিশকে জানানো হয়। দূতাবাসের কাছ থেকেই মিজানুরকে ধরে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। গোয়েন্দারা জেরার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মোবাইল পরীক্ষা করেন। তাঁর সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হয়। তিনি আইএসআইয়ের চর অথবা জঙ্গি সংগঠনের সদস‌্য কি না, তা-ও জানার চেষ্টা করেন গোয়েন্দারা। যদিও আত্মীয়াকে ওই ছবি পাঠানো ছাড়া তাঁর অন‌্য কোনও উদ্দেশ‌্য গোয়েন্দারা জানতে পারেননি। পরে তাঁকে ছেড়ে দিলেও সন্দেহের একেবারে উর্ধে রাখা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: ‘মোদির টিকিটে পাপুয়া নিউ গিনির ভোটে লড়ব’, খোঁচা যশবন্ত সিনহার, পালটা বিজেপির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement