রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: মাত্র ছ’মাসের ব্যবধানে কী এমন হল যে চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে দলের ফলাফল এত খারাপ হল? কেনই বা প্রাপ্ত ভোটের হার নিম্নমুখী? পায়ের নিচের মাটি কি আরও আলগা হচ্ছে? সংগঠনের ফাঁকফোকর কোথায়? উপনির্বাচনে ভরাডুবির পর এই প্রশ্নের উত্তর চাইছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সামনের সপ্তাহেই বঙ্গের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। শীঘ্রই দিল্লিতে ডাক পড়তে পারে রাজ্য বিজেপির কোর কমিটির সদস্যদের।
সদ্য চার কেন্দ্র শান্তিপুর, খড়দহ, গোসাবা ও দিনহাটার (Dinhata) উপনির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের প্রাপ্ত ভোটের হার এক ধাক্কায় নেমে গিয়েছে ১৪.০৫ শতাংশে। সবচেয়ে বড় কথা, গতবার দখলে থাকা দিনহাটা ও শান্তিপুরের আসন হাতছাড়া হয়েছে। কেন এই দু’টি আসন ধরে রাখা গেল না তার বিস্তারিত রিপোর্ট চাইতে পারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব খারাপ ফলের কারণ হিসাবে সন্ত্রাসের যুক্তিকে খাঁড়া করেছে। সেখানেও প্রশ্ন, নির্বাচনে ৯২ কোম্পানি আধাসেনা থাকা সত্ত্বেও এই সন্ত্রাসের যুক্তি পুরোপুরি খাটে কি না? এমন প্রশ্ন দলের অন্দরেও।
[আরও পড়ুন: কালীপুজোয় রাতভর পুণ্যার্থীদের জন্য খোলা দক্ষিণেশ্বর মন্দির, তবে বন্ধ প্রসাদ বিতরণ]
তাই খারাপ ফলের পিছনে সংগঠনের কোথায় গলদ, কোথায় খামতি ছিল সেটা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট নিতে পারে কেন্দ্রীয় নেতারা। এদিকে, ডিসেম্বরেই কলকাতা ও হাওড়ায় পুরভোট। সেটাও মাথায় রাখছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য বুধবার দাবি করেছেন, বিজেপি পুরভোটে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। পুরো শক্তি দিয়েই লড়বে দল। সব আসনেই প্রার্থী দেওয়া হবে।
এদিকে, উপনির্বাচনে খারাপ ফলের পর দলের শীর্ষনেতৃত্বের বিরুদ্ধে বুধবারও সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় টুইটে লিখেছেন, ‘‘আমি প্রকাশ্যে বিজেপি নেতাদের নিন্দা করেছি বলে কেউ কেউ মর্মাহত হয়েছেন, শুনে নিন। নির্বাচনের আগে প্রকাশ্যে একটি কথাও বলিনি। দলের ভিতরে বলেছি। কিন্তু নির্বাচনে ভরাডুবি হওয়ার পর যখন দেখা গেল কোনও বিশ্লেষণের চেষ্টা নেই, উলটে ৩ থেকে ৭৭ বলে নিজেদের পিঠ চাপড়ানো হচ্ছে, তখন বলতেই হল।’’