রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচি বন্ধ করার চেষ্টা ছাড়া সিবিআই তলবের অন্য কোনও কারণ নেই বলেই দাবি করেন তিনি। এই ইস্যুতে মুখ খুলে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় অভিষেককে পালটা জবাব দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণের পর রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “ঝড়েও তো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল নবজোয়ার। উনি ২দিন বিশ্রাম পেলেন সিবিআইকে ধন্যবাদ দিন। নবজোয়ার করুন না সারা বছর। যখন উনি বলেছেন সহযোগিতা করবেন তাই সিবিআই ডেকেছে। সহযোগিতা করা উচিত। উলটোপালটা বলছেন কেন?” উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুরে সিবিআইয়ের নোটিস পান অভিষেক। বাঁকুড়ায় ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচি স্থগিত রেখে রাতেই কলকাতায় ফিরে আসেন। শনিবার সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেন অভিষেক। রবিবারও ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচি স্থগিত। সোমবার থেকে কর্মসূচি শুরু হবে বলেই জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ।
[আরও পড়ুন: শুটিং সেরে বাড়ি ফেরার পথে লরির ধাক্কা, প্রাণ গেল টেলি অভিনেত্রীর]
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ‘ঘনিষ্ঠ’ মিডলম্যান প্রসন্ন রায়ের বাড়ি থেকে দিলীপ ঘোষের দলিল উদ্ধারের প্রসঙ্গও তোলেন অভিষেক। তারও পালটা জবাব দেন দিলীপ। তাঁর কথায়, “আমার নাম জপ করে বাঁচতে পারবেন না। যে যা করেছে জবাব দিতে হবে। আদালতে গিয়ে জবাব দিতে হবে। যেদিন আমাকে ডাকবে সেদিন আমি জবাব দেব।”
মদন মিত্রের ক্ষোভেও ঘৃতাহুতি দেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “সব জায়গায় দালালি চলছে। যে নেতা যেমন পারছে কাজ করিয়ে নিচ্ছে। কাজ আটকালে গণ্ডগোল। কোনও সিস্টেম নেই। সবাই নিজের মতো চালাচ্ছে। পার্টির উপর কারও নিয়ন্ত্রণ নেই। নেতারা জেল যাওয়া থেকে বাঁচার জন্য আদালতে যাচ্ছে। ডামাডোল পরিস্থিতি। তার মধ্যে পুরনোরা বুঝতে পারছে কোণঠাসা হয়ে যাচ্ছি।”