সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অতীতে অতি সুসম্পর্ক ছিল কুণাল ঘোষ ও অধুনা বিজেপি সজল ঘোষের। উত্তর কলকাতায় কার্যত দাদা-ভাই হিসেবে পরিচিত ছিলেন তাঁরা। তবে সজল বিজেপিতে যাওয়ায় দূরত্ব বাড়ে। পুরভোটে সজলের ওয়ার্ডে একটি সভাও করেন কুণাল। আবার টিভি বিতর্কে কুণালের সমালোচনা করেন সজল। এহেন পরিস্থিতিতে রাজ্য তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এবং বিজেপির পুরপিতা সজল ঘোষকে দেখা গেল আড্ডায় মেতে উঠতে, বহুদিন পরে।
বড়দিনের বিশেষ অনুষ্ঠান ছিল মানিকতলার উদয় সোশ্যাল সার্ভিস সেন্টারের। এর প্রধান উদ্যোক্তা এবং নিহত উদয়ের ভাই হলেন বিজেপি নেতা ও দলের পদচ্যুত উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি শিবাজী সিংহরায়। কার্নিভালে আসার জন্য তিনি আমন্ত্রণ করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh)। রবিবার সন্ধেয় নৈহাটি ও কাঁকুড়গাছির কর্মসূচির পর রাতে কুণাল যান শিবাজীবাবুর আমন্ত্রণরক্ষায়। এটি তাঁর বাড়ির কাছেই। তখন ভরপুর গানবাজনা চলছে। সঙ্গে নৈশভোজ।
[আরও পড়ুন: অন্তর্কলহে জর্জরিত বঙ্গ বিজেপির আর্থিক খরচেও নজরদারি, তৈরি কেন্দ্রীয় মনিটরিং টিম]
কুণালকে স্বাগত জানান শিবাজী ও অন্যরা। তখন সেখানে ছিলেন বিজেপির পুরপিতা ও উত্তর কলকাতা, উত্তর শহরতলীর পর্যবেক্ষক সজল ঘোষ (Sajal Ghosh)। তিনি তৃণমূলে থাকতে কুণালঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন। এখন বিজেপির রাজনীতিতে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী বলে পরিচিত, যে শুভেন্দুর সঙ্গে কুণালের তরজা মিডিয়ার নিত্যখাদ্য। শিবাজী, কুণাল, সজলকে কিছুক্ষণ আড্ডা মারতে দেখা যায়। কুণাল চা খেতে চাইলে সজল বলেন, ‘কুণালদা ফিশ ফ্রাই ভালোবাসে।’ ফলে কুণালকে ফ্রাই খাওয়ান শিবাজী। সজল খান বার্গার। সজল বলেন, কুণালদাকে গান করতে হবে। কুণাল বলেন, গলা ভাঙা। আজ গান নয়। যদিও কিছুক্ষণ আগে পরেশ পালের অনুষ্ঠানে গান গেয়ে এসেছিলেন তিনি। বর্ষীয়ান শিবাজীবাবুর সঙ্গে কুণালের দীর্ঘ যোগাযোগ। কুণাল কার্নিভালে গিয়েছেন শুনে চলে আসেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরাও।
কুণাল বলেন, “এটি অরাজনৈতিক মঞ্চ। পার্টি যার যার, উৎসব সবার। আর শিবাজীদা যদি বিজেপি নেতা হয়েও আমাকে আমন্ত্রণের সৌজন্য দেখাতে পারেন, তাহলে পালটা সৌজন্য দেখানোর মানসিকতা আমরাও রাখি।” সজল বলেন,” শিবাজীদার আমন্ত্রণে এসেছি। গৃহকর্তা কাকে কাকে আমন্ত্রণ করবেন, সেটা তাঁর বিষয়। কুণালদা এসেছিলেন, দেখা হয়েছে।” শিবাজী বলেন, “কুণাল তো এলাকার ছেলে। কতদিনের সম্পর্ক। একটু বড় করে বড়দিনের অনুষ্ঠান করলাম, তাই ওকে আমন্ত্রণ করেছিলাম। তিনজন কিছুক্ষণ গল্প হল। এসব ব্যক্তিগত, রাজনীতির সম্পর্ক নেই।”
