সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: বিধানসভা ভবন (WB Assembly) নাকি অন্য কোনও জায়গা? বোঝার উপায় নেই। অন্তত বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘণ্টাখানেক বিধানসভার ছবিটা ছিল তেমনই। একদিকে থালা বাজানো হচ্ছে, তো অন্যদিকে বাঁশি, ঝুমঝুমি। শব্দের জোরে কে কাকে পাল্লা দেবে, সেই প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। তৃণমূলের (TMC) ধরনার পালটা বিজেপিও (BJP) কোনও অনুমতি, প্রস্তুতি ছাড়াই বিক্ষোভ শুরু করে। থালার সঙ্গে পাল্লা দিতে তাঁদের তরফে বাঁশি, ঝুমঝুমি, শাঁখ নিয়ে আসা হয়। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিক্ষোভরত বিধায়কদের জন্য আনা হয় লজেন্স। কিন্তু এসব প্রস্তুতিই সার। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই বিক্ষোভে ইতি টানতে হয় তাঁদের। এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূল বিধায়করা। এদিনও বিজেপির বিরুদ্ধে জাতীয় সংগীত (National Anthem) অবমাননার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।
বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে জাতীয় সংগীত অবমাননার বিষয়টি নিয়ে বুধবার থেকেই শোরগোল চলছে বিধানসভায়। এর জন্য ১২ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এনিয়ে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ”জাতীয় সংগীতের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করা কর্তব্য। কিন্তু বিরোধী দলের আচরণ এবং তাঁরা যে অপরাধ করেছেন, তার তদন্ত হওয়া উচিত। আমরা অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। পুলিশ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে। আইনগতভাবে যা করার পুলিশ করবে।”
[আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বার মা হলেন শুভশ্রী, রাজের ঘরে এল ফুটফুটে সন্তান]
বৃহস্পতিবার তৃণমূলের পালটায় বিজেপি বিধায়কদের বাঁশি, শাঁখ বাজিয়ে বিক্ষোভের পর রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য অভিযোগ তোলেন, ”আজকেও ওরা জাতীয় সংগীতের অবমাননা করেছে। নতুন করে আর কোন অভিযোগ জানানো হবে কিনা তা নিজেরা আলোচনা করে ঠিক করব। এই দলটা জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা – কোনও কিছুই মানে না।” বিধায়ক লাভলি মৈত্রর কথায়, ”যেখানে বসে ওঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল, সেই জায়গাটা নোংরা করে রেখেছে। অপবিত্র করেছে। গঙ্গাজল দিয়ে পবিত্র করা উচিত।”
[আরও পড়ুন: ‘কিছুই বিনামূল্যে দেওয়া উচিত নয়’, এবার সরকারি ভর্তুকির বিরোধিতায় সরব নারায়ণ মূর্তি]
পালটা বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) শংকর ঘোষের দাবি, ”আমরা শুনেছি, ওরা চোর চোর স্লোগান দিচ্ছিল। সেখানে কখন ওরা জাতীয় সংগীত গাইল, আমরা কেউ শুনতে পাইনি। আর চোরেদের মুখে হঠাৎ জাতীয় সংগীতই বা কেন? আমরা আমাদের কর্মসূচি করেছি।” তবে জাতীয় সংগীত ইস্যুর মাঝে এদিন তৃণমূলের ‘থালা-বিক্ষোভে’র মাঝে বিজেপির তড়িঘড়ি ‘ঝুমঝুমি-বিক্ষোভ’ই আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়াল।