রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্যের প্রায় ৮০ হাজার বুথের মধ্যে ৩০ শতাংশ বুথ বাদ দিয়েই ছাব্বিশের নির্বাচনে লড়তে চলেছে বঙ্গ বিজেপি। সংখ্যালঘু এলাকায় কোনও বুথে সংগঠনের দরকার নেই বলে কেন্দ্রীয় নেতারা বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছেন। তবে একই সঙ্গে বুথস্তরে কমিটি গঠনে কোনও জল যেন মেশানো না হয় সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে বলেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
মঙ্গলবার সল্টলেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে বঙ্গ বিজেপির বড় বৈঠক ছিল। দলের বর্তমান সাংগঠনিক প্রক্রিয়া নিয়েই মূলত এই বৈঠক হয়। যেখানে রাজ্য নেতারা ছাড়াও জেলা সভাপতি, জেলা ও জোন ইনচার্জরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন রাজ্য বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল, মঙ্গল পাণ্ডে, অমিত মালব্যরা। বৈঠকে সুকান্ত ছাড়াও প্রাক্তন দুই রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহাও ছিলেন।
এদিন রাজ্য নেতাদের সতর্ক করে সুনীল বনসল বলে দিয়েছেন, কত বুথে কমিটি হয়েছে, সভাপতি হয়েছে সমস্ত চেক করা হবে। এখনও পর্যন্ত ১৬,৩৮০টি বুথে সভাপতি হয়েছে বঙ্গ বিজেপির। আরও বহু বুথ বাকি রয়েছে। আপাতত অন্তত ৫০ শতাংশ বুথে কমিটি করতেই হবে বলে বঙ্গ শাখাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুথ কমিটি গড়ার পাশাপাশি ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জেলা সভাপতি নির্বাচনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মধ্যে মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন করতে হবে। বলা হয়েছে প্রতি জেলায় অন্তত একজন মণ্ডল সভাপতি মহিলা, একজন তফসিলি জাতির এবং একজন তফসিলি উপজাতির হতে হবে। মণ্ডল সভাপতিদের বয়স ৪৫-এর মধ্যে হতে হবে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল সংখ্যালঘু ভোটের আশা একপ্রকার ছেড়েই দিচ্ছে গেরুয়া শিবির। কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, সংখ্যালঘু এলাকা গুলিতে বুথ কমিটি গড়ারও দরকার নেই।
এদিন এই সংগঠনিক বৈঠকে ছিলেন না শুভেন্দু অধিকারী। এদিন মেদিনীপুরে অন্য একটি কর্মসূচিতে ছিলেন বিরোধী দলনেতা। বিজেপির এই দলীয় কোন্দল নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘‘এটা ওদের পার্টির ব্যাপার। দিলীপ বনাম সুকান্ত, সুকান্ত বনাম শুভেন্দু বিজেপিতে কোন্দল দীর্ঘদিন চলছে।’’