স্টাফ রিপোর্টার: পুরস্কারের টোপ দিয়ে, পদ দেওয়ার লোভ দেখিয়েও সদস্য সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকও কেন ছুঁল না, এই প্রশ্ন তুলে বঙ্গ বিজেপিতে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন দলের পুরনো নেতা- কর্মীরা। সদস্যতা অভিযানের শেষ সময়সীমা পর্যন্ত যা খবর তাতে ৫০ লক্ষ প্রাথমিক সদস্য হয়নি। অর্থাৎ, লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকও ছোঁয়নি। আবার সক্রিয় সদস্য হয়েছে ৪৫ হাজারের মতো। রাজ্যে বুথ ৭৯ হাজার।
সেই হিসাব মতো দেখা যাচ্ছে, প্রতি বুথে বিজেপির একজন সক্রিয় সদস্য দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। পাশাপাশি গতবার না এবছর ভেরিফায়েড সদস্য বেশি হল তা নিয়েও দলের দুই শিবিরের মধ্যে তর্ক শুরু হয়েছে। দিলীপ ঘোষ রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন ২০১৮ সালে মিসড কল দিয়ে ৮২ লক্ষ সদস্য সংগ্রহ হয়েছিল। দিলীপ শিবিরের নেতাদের দাবি, তার মধ্যে ভেরিফায়েড সদস্য ছিল ৬৮ লক্ষ। দিলীপ ঘনিষ্ঠ দলের এক রাজ্য নেতার দাবি, আগের বারের তুলনায় এবার সদস্য সংগ্রহের হাল খারাপ।
আবার বঙ্গ বিজেপির বর্তমান ক্ষমতাসীন শিবিরের নেতাদের পালটা দাবি, আগেরবার মাত্র ১৩ লক্ষ সদস্য ভেরিফায়েড ছিল। এবার সেই সংখ্যা ৪০ লক্ষের ঘরে পৌঁছে গিয়েছে। ফলে সদস্য সংগ্রহ নিয়ে দুই শিবিরে তরজা যেমন চরমে, তেমনই নাস্তানাবুদ বঙ্গ বিজেপি। একইসঙ্গে দলের পুরনো নেতারাও সরব হয়েছেন। দলের প্রাক্তন রাজ্য সহ-সভাপতি রাজকমল পাঠকের অভিযোগ, "যারা বঙ্গ বিজেপির মূল স্তম্ভ ছিল, যারা ৩০-৩৫ বছর ধরে পার্টি করেছে তাদের মাঠে না নামিয়ে সাইড লাইনে বসিয়ে রাখা হয়েছে। কাদের দেখে মানুষ আসবে।"