shono
Advertisement
Bratya Basu

আইসিইউতে উপাচার্য, তবুও ক্ষমার দাবিতে সরব পড়ুয়ারা! 'বাড়ির লোক হলে বলতেন?' ক্ষুব্ধ ব্রাত্য

উপাচার্যকে দেখতে হাসপাতালে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
Published By: Sayani SenPosted: 06:36 PM Mar 05, 2025Updated: 07:46 PM Mar 05, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি তিনি। তবুও নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে উপাচার্যকে, এই দাবিতে সরব পড়ুয়াদের একাংশ। আন্দোলনকারীদের আচরণে ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বাড়ির লোক যদি মরণাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি থাকতেন, এই দাবি করতে পারতেন কিনা পালটা প্রশ্ন তাঁর।

Advertisement

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এদিন বলেন, "যেভাবে হেনস্তা করেছে অকল্পনীয়। উপাচার্যকে কোনওরকম মানসিক চাপ দেওয়া যাবে না। তাঁর হার্টের অবস্থা ভাল নয়। সবপক্ষকে অনুরোধ করব জীবনের দিকে তাকিয়ে একটু মানবিক ব্যবহার যেন করা হয়।" এরপর নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে উষ্মাপ্রকাশ করেন ব্রাত্য। আরও বলেন, "ক্ষমা চাইতে হবে, এটা কী? তাদের বাড়ির লোক যদি মরণাপন্ন অবস্থায় থাকত? চিকিৎসক তাঁকে বিশ্রাম নিতে বলছেন, আইসিইউয়ের বেড থেকে উঠে গিয়ে যদি ক্ষমা চাইতে হবে? কী পরিমাণ নৈরাজ্য, অসহিষ্ণুতা। মুক্তাঞ্চল হয়ে গিয়েছে।" বলে রাখা ভালো, চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস জানিয়েছেন, "উপাচার্যের আগের চেয়ে শারীরিক পরিস্থিতি একটু ঠিক হয়েছে। কিন্তু স্থিতিশীল বলা যাবে না। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। ২০১৫ সালে উপাচার্যের একটি স্ট্রোক হয়েছিল। স্বাভাবিক জীবনযাপন করছিলেন। কোনও ঘেরাও, মিছিল, উত্তেজনা নয়। শান্ত পরিসরে না থাকলে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।"

আন্দোলনকারীদের আরও মানবিক হওয়ার আর্জি জানিয়েছেন উপাচার্যের স্ত্রী-ও। তিনি বলেন, "একটু মানবিকতা চাইছি। আমাদের বয়স হয়েছে। উনি অসুস্থ। খাট থেকে উঠে নিয়ে যেতে পারতেন, যদি আমরা ছাত্রদের বাবা, মা হতাম? এরকম সন্তান হতেন আপনারা? ওইদিন ব্রাত্যবাবু গাড়িতে উঠছেন দেখে উনি অরবিন্দ ভবনে চলে যান। পরে আহত ছাত্রকে দেখতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন। ওঁর জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়।" উল্লেখ্য, গত ১ মার্চ ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভার দিন ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে সরব বাম ছাত্র সংগঠন। দফায় দফায় স্লোগান, বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পড়ুয়ারা। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেওয়া হয়। আন্দোলনের জেরে কোমরে চোট পান ব্রাত্য। এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাও হয় তাঁর। এই ঘটনার পর থেকে আন্দোলনের আঁচে পুড়ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ৪ মার্চের রাত থেকে রাতভর ধরনায় শামিল পড়ুয়ারা। অরবিন্দ ভবনের সামনে বুধবারও ধরনা চলছে। উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার ডেডলাইন বেঁধে দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বিরুদ্ধে ‘হিট অ্যান্ড রানে’র মামলা দায়েরের দাবি তুলেছেন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, ঘটনার দিন ক্যাম্পাসে ছিলেন উপাচার্য। তাই বুধবার বিকেল চারটের মধ্যে ক্যাম্পাসে এসে উপাচার্যকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। তারই মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েন উপাচার্য। আন্দোলনের রূপরেখা স্থির করতে বৈঠকে আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • উপাচার্যকে দেখতে হাসপাতালে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
  • তবুও নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে উপাচার্যকে, এই দাবিতে সরব পড়ুয়াদের একাংশ।
  • 'বাড়ির লোক হলে বলতেন?' ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী।
Advertisement