অর্ণব আইচ: বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে হানা দিয়েছিল দুই ডাকাত। সমস্ত হাতিয়ে নেওয়ার আগেই চলে আসেন বাড়ির ছেলে। ডাকাতিতে (Dacoity) বাধা দিতে গেলে তাঁর মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে ডাকাতরা। তবে রক্তাক্ত হয়েও ধৈর্য বা সাহস হারাননি ওই যুবক। ওই অবস্থাতেই ডাকাতদের ধাওয়া করে হাতেনাতে ধরেন। বাঘাযতীন (Baghajatin) কলোনি এলাকার ওই যুবকের সাহসিকতা দেখে প্রতিবেশী থেকে পুলিশ, সকলেই প্রশংসা করছেন।
সোমবার সন্ধেবেলা দক্ষিণ শহরতলির পাটুলি থানা এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, আহত যুবকের নাম শুভঙ্কর মুখোপাধ্যায়। তিনি বাঘাযতীন কলোনির বাসিন্দা। এদিন সন্ধেয় শুভঙ্কর বাড়ি ফিরে দেখেন, বাড়ির কোলাপসিবল গেট ভাঙা। তাতে অবাকই হন তিনি। এরপর বাড়ির ভিতরে ঢুকে দেখেন, ঘরে দুই যুবক লুটপাট চালাচ্ছে। একজন তাঁর মানিব্যাগ হাতিয়েছে, যার ভিতরে রয়েছে দশ হাজার টাকা। অন্য একজন নিয়েছে তাঁর ল্যাপটপ। এরপর শুভঙ্করকে ঘরে ঢুকতে দেখেই তারা পিছনের দরজা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। শুভঙ্কর তাদের তাড়া করেন। একজন তাকে ছুরি দিয়ে মারতে যায়, অপরজন শুভঙ্করের মাথায় লোহার রড দিয়ে মেরে পালিয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: বাংলায় দু’শোর বেশি আসনে জিতবে বিজেপি, কলকাতায় পা দিয়েই দাবি অমিত মালব্যর]
রক্তাক্ত হয়েও কাবু হয়ে পড়েননি শুভঙ্কর। সাহস আর ধৈর্য নিয়ে তিনি দুই ডাকাতকে তাড়া করেন। ল্যাপটপ-সহ এক দুষ্কৃতীকে জাপটে ধরে ফেলেন যুবক। আরেকজন নাগাল ফস্কে পালিয়ে যায়। শুভঙ্করের চিৎকারে এলাকার বাসিন্দারা ছুটে আসেন। দেবকুমার হালদার নামে ওই যুবককে ধরে পাটুলি থানার (Patuli PS) পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। উদ্ধার হয় ল্যাপটপটি। এরপর জখম শুভঙ্করকে বাঘাযতীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায় পলাতক দুষ্কৃতীর সন্ধান চলছে। শহর কলকাতায় এ ধরনের দু্ষ্কৃতী হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে। তা দমনে পুলিশকে যেভাবে সাহায্য করলেন এই যুবক, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।