shono
Advertisement

ধোপে টিকল না শুভেন্দুর আপত্তি, মমতার সংহতি মিছিলে অনুমতি হাই কোর্টের

সম্প্রীতির বাংলায় বিষ ঢালার জন্য প্ররোচনা দিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী, হাই কোর্টের রায়ের পরই তোপ কুণালের।
Posted: 12:54 PM Jan 18, 2024Updated: 04:28 PM Jan 18, 2024

গোবিন্দ রায়: ২২ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংহতি মিছিলের অনুমতি দিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। ধোপে টিকল না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) আপত্তি। তাঁর আর্জি খারিজ করে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ শর্তসাপেক্ষে ওই সম্প্রীতি মিছিলের অনুমতি দিয়ে দিল।

Advertisement

২২ জানুয়ারি অর্থাৎ অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের দিন রাস্তায় নামতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ওইদিন খাস কলকাতায় সংহতি মিছিলে হাঁটবেন মমতা। সর্বধর্ম সমন্বয়ের লক্ষ্যে কলকাতায় একটি জনসভাও করবেন মুখ্যমন্ত্রী। ২২ জানুয়ারি সকালে কালীঘাটে (Kalighat) মা কালীর পুজো দিয়ে হাজরা থেকে সর্বধর্মের লোককে নিয়ে মিছিল করবেন মুখ্যমন্ত্রী। হাজরা থেকে মন্দির, মসজিদ গুরুদ্বার ছুঁয়ে পার্ক সার্কাসে হবে জনসভা। এই সংহতি মিছিলকে কেন্দ্র করেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। এই কর্মসূচি আদতে বিভাজন তৈরির চেষ্টা বলেই দাবি বিজেপির।

[আরও পড়ুন: জন্মের প্রমাণপত্র হিসাবে গ্রহণযোগ্য নয় আধার! বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের]

মুখ্যমন্ত্রীর সংহতি মিছিলের দিন বদলের দাবিতে হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে তাঁর দাবি ছিল, রামমন্দির (Ram Temple) উদ্বোধনের দিন রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ, শুভেন্দুর সেই আবেদন কার্যত খারিজ করে দিল।

[আরও পড়ুন: সমরশক্তিতে শীর্ষে আমেরিকা, তালিকায় কত নম্বরে ভারত ও চিন?]

তবে মিছিলের অনুমতি দিলেও কিছু শর্ত চাপিয়েছে আদালত। হাই কোর্ট (Calcutta High Court) জানিয়েছে, কারও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করবে, মিছিল থেকে এমন কোনও মন্তব্য করা যাবে না। তাছাড়া এই ধরনের মিছিলে যানবাহণের সমস্যা হয়, সাধারণ মানুষের সমস্যা হয়, রাজ্য এবং শাসকদলকে সেদিকটাও নজর রাখতে বলেছে হাই কোর্ট।

আদালতের এই রায়কে হাতিয়ার করে বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। শুভেন্দু অধিকারী এবং অমিত মালব্যকে আক্রমণ করে তাঁর তোপ,”বিজেপির রাজনীতিই হল উন্নয়নের ব্যর্থতা থেকে নজর ঘোরাতে মেরুকরণের চেষ্টা করা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার ঐতিহ্য মেনে সংহতির মহামিছিল ডেকেছেন।  তাঁকে কলুষিত করার চেষ্টা হচ্ছে। সম্প্রীতির বাংলায় বিষ ঢালার জন্য প্ররোচনা দিচ্ছে শুভেন্দু অধিকারী। ধর্মীয় মেরুকরণের মাধ্যমে যে বিষ ছড়ানো হচ্ছে, দরকারে এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement