গোবিন্দ রায়: বাড়ল 'কালীঘাটের কাকু' ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্ট। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের থাকা এবং শৌচালয় ব্যবহারের ক্ষেত্রে একাধিক শর্ত জারি করেছে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ।

এদিন 'কালীঘাটের কাকু'র স্বাস্থ্য রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় আদালতে। চিকিৎসক জানান, চলাফেরার ক্ষেত্রে অনেক বিধিনিষেধ রয়েছে। 'কালীঘাটের কাকু'র বাড়ি দখল করে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে বলেই অভিযোগ উঠেছে। প্রতিকার চেয়ে ইতিমধ্যে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থও হন তিনি। এদিন 'কালীঘাটের কাকু'র আইনজীবী আরও একবার জানান, একই শৌচালয় ব্যবহারের ফলে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র অস্বস্তিবোধ করছেন। এছাড়া চিকিৎসক ছাড়া কাউকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করা হয়।
তার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতির প্রশ্ন, "এটা কী ঠিক? বাহিনী কী ঘরে ঢুকতে পারে?" প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, "ফ্ল্যাটটি ছোট নয়। বাহিনীকে থাকার জন্য জায়গা তো দিতেই হবে।" চিকিৎসক ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, এই অভিযোগও খারিজ করে দেয় সিবিআই। আইনজীবীর দাবি, বাহিনী কোনওভাবেই চিকিৎসার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে না। হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, কেওয়াইসি করানোর জন্যে একজন ব্যাঙ্ককর্মীকে 'কালীঘাটের কাকু'র সঙ্গে দেখা করতে দিতে হবে। 'কালীঘাটের কাকু'র বাড়ির নিচতলার শৌচালয় ব্যবহার করতে দিতে বাহিনীকে। এবং নিচতলাতেই তাদের থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। আদালতের রায়ে স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা হলেও স্বস্তিতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পাওয়া সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।