গোবিন্দ রায়: শব্দদূষণ (Sound Pollution) রোধে আইন কড়া। অনেকটা অটোম্যাটিক অস্ত্রের মতো। শুধু অস্ত্রে ব্যবহারের জন্য বুলেট নেই। মহরমের মিছিলে ড্রাম বাজানোয় শব্দদূষণ প্রসঙ্গে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের বয়ানে এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। শনিবার মহরম (Muharram)। এই ধর্মীয় উৎসবে মিছিলে ড্রাম বাজানো নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল আদালতে। সেই মামলায় এমন মন্তব্য প্রধান বিচারপতির।
বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলায় পুলিশকে একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। শনিবার মহরমের মিছিলের আজে জনগণের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে পুলিশকে। সেই নোটিসে উৎসবে কখন মিটিং, কতক্ষণ জমায়েত – এই সব কিছু নির্দিষ্ট করতে হবে। ক্লাব বা বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে আগে পুলিশের অনুমতি নিতে হবে র্যালি করার জন্য। যেহেতু সময় অল্প, সকলে সেই সময়ের মধ্যে আবেদন করে অনুমতি আদায় নাও করতে পারে। তা হলেও কোন অর্গানাইজড গ্রুপ ড্রাম বাজাচ্ছে বা কতক্ষণ মিছিল করছে, পুলিশকেই তা নজরে রাখতে হবে। কোন এলাকায় বাজানো হচ্ছে, সেটা এবং তার সময় উল্লেখ রাখতে হবে। নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের।
[আরও পড়ুন: বারাণসীর বিধবার সঙ্গে বৃহন্নলার প্রেম! প্রথম ঝলকেই চমকে দিল ‘সফেদ’]
এক সপ্তাহ আগে থেকেই উচ্চস্বরে মাইক বা ক্রমাগত ড্রাম বাজানো কোনও ধর্মীয় উৎসবের অঙ্গ হতে পারে না, এই মর্মে মহরমের বেশ কয়েকদিন আগেই হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের করেছিলেন সগুপ্তা সুলেমন নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতিদের বক্তব্য, কোন এলাকায় কী শব্দ, তার জোর কতটা থাকবে, সেসব নির্দিষ্ট করা আছে শীর্ষ আদালতের নির্দেশিকায়। আবার শব্দ নিয়ন্ত্রণের কথাও আছে। শীর্ষ আদালত ধর্ম প্রচারের জন্য মাইক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। আবার ধর্মের জন্য সবকিছু আইনের উর্ধ্বে এমনও বলেনি। এনিয়ে একটি রায়ের কথা উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি।
[আরও পড়ুন: বেলারুশে পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন রাশিয়ার! বিপর্যয় কি অনিবার্য?]
তাঁদের মতে, অনেক নাগরিক সচেতন নন। পুলিশের কাজ, কে আইন মানছে না, সেটা দেখা। উৎসবে ড্রাম বাজানোর অনুমোদন থাকলেও আইন অনুযায়ী, রাত দশটার পর মাইক ব্যবহার করা যায় না খোলা জায়গায়। পুলিশকে তা দেখতে হবে। একই সঙ্গে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ পাবলিক নোটিস জারি করবে। কত মাত্রায় শব্দ ব্যবহার করলে তা শব্দদূষণ হবে, সেটা জানাবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। প্রধান বিচারপতির আরও মন্তব্য, “ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার প্রস্তুতির প্রয়োজন আছে। ক্রমাগত শব্দদূষণে শিশুদের কানে ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই যায়।”