গোবিন্দ রায়: বিরোধী রাজনৈতিক দলের অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে বিতর্কিত কথাবার্তা বলায় তিনি আপাতত শাসকদলের বিরাগভাজন। রয়েছে হামলার আশঙ্কা। তাই কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর (Kaustav Bagchi) নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখা দরকার। কৌস্তভের আইনজীবীর এই সওয়ালের ভিত্তিতে শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC) আগামী একমাসের জন্য সিআইএসএফ (CISF)জওয়ান মোতায়েনের নির্দেশ দিল। কতজন জওয়ান মোতায়েন থাকবে, সেই সিদ্ধান্ত বাহিনীর উপরেই ছেড়েছেন বিচারপতি। মামলার পরবর্তী শুনানি ১১ মে।
শুক্রবার কংগ্রেস নেতা ও আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। রাজ্যের পক্ষ থেকে আইনজীবী সওয়াল করেন, রাজ্য পুলিশ কৌস্তভকে নিরাপত্তা (Security) দিচ্ছে, আর তা নিয়ে কোনও অভিযোগও নেই। পালটা কৌস্তভের আইনজীবীর সওয়াল, বিরোধী রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে শাসকদলের বিরাগভাজন তিনি। হামলার আশঙ্কা রয়েছে। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষে বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দেন, আপাতত একমাসের জন্য বহাল থাকবে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা। CISF মোতায়েন রাখতে দেবে। তবে কতজন জওয়ান থাকবেন, সেই সিদ্ধান্ত নেবে CISF-ই।
[আরও পড়ুন: কামড় খেয়েও হারাননি সাহস, মাঝরাতে বোতলে গোখরো নিয়ে সটান এনআরএসে হাজির যুবক!]
কৌস্তভকে নিয়ে এত আলোচনার সূত্রপাত গত মাসের প্রথম দিকে। মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কুরুচিকর আক্রমণের পর কংগ্রেসের তরুণ নেতা কৌস্তভের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর (FIR)দায়ের করেন এক নেতা। তার ভিত্তিতে গত মাসে তাঁর বারাকপুরের বাড়িতে রাতভর তল্লাশি চালায় বড়তলা থানার পুলিশ। সকালের দিকে কৌস্তভকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পেশ করা হলে সঙ্গে সঙ্গেই জামিন পেয়ে যান তিনি। এরপর পুলিশের ভূমিকার নিন্দা করে প্রতিবাদ স্বরূপ মাথা নেড়া করেন কৌস্তভ। সঙ্গে শপথ নেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) অপসারিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি চুল রাখবেন না। পাশাপাশি নিজের নিরাপত্তার জন্য কলকাতা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থও হন। সেই মামলায় শুক্রবার তাঁকে CISF জওয়ান মোতায়েনে অনুমতি দিলেন বিচারপতি মান্থা।