গোবিন্দ রায়: বিধানসভায় জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় স্বস্তিতে বিজেপি বিধায়করা। আদালতের নির্দেশ ছাড়া চার্জশিট দিতে পারবে না পুলিশ। আপাতত কোনও বিজেপি বিধায়ককে ওই দুই মামলায় জেরার জন্য ডাকতেও পারবে না বলে পুলিশ। জানাল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চ।
এই ইস্যুতে সিঙ্গল বেঞ্চের দেওয়া প্রথম মামলার নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। এবং সেই মামলার শুনানি এখনও হয়নি। তাই দ্বিতীয় মামলাতে কোনও তদন্ত এগোতে পারবে না পুলিশ। ৭ ফেব্রুয়ারি সিঙ্গল বেঞ্চে দুটি মামলার শুনানির সম্ভাবনা। তার আগে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের দায়ের প্রথম মামলার শুনানি হতে পারে। এর পরই নেওয়া হবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত।
[আরও পড়ুন: ফের হামলার আশঙ্কা ইডির? এবার শক্তি বাড়িয়ে অভিযান]
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরের শেষ দিকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। বি আর আম্বেদকরের মূর্তির নিচে তৃণমূলের ধরনা কর্মসূচি চলছিল। ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিকে, অমিত শাহের সভা শেষ হতেই শুভেন্দু-সহ বিজেপির অন্য বিধায়করা বিধানসভায় হাজির হন। তৃণমূলের ধরনার অদূরে গাড়ি বারান্দার নিচে পালটা ধরনা শুরু করে বিজেপি। ‘চোর, চোর’ স্লোগান দিতে থাকেন। এদিকে, তৃণমূলের ধরনা কর্মসূচি শেষে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীনও বিজেপি বিধায়করা স্লোগান দিতে থাকেন। আর তার জেরেই তৃণমূলের তরফে বিজেপির বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ ওঠে। বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় FIR দায়ের হয়। এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি বিধায়করা।
