শুভঙ্কর বসু: বাঁকুড়ায় বেআইনিভাবে কয়লা উত্তোলনের অভিযোগে লালা ওরফে অনুপ মাজি-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলায় রাজ্যের তরফের কোন রিপোর্ট জমা না পড়লেও বিচারপতি দেবাংশু বসাক সিবিআইয়ের কাছে মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে তথ্য চেয়েছেন। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার ফের মামলার শুনানি।
[আরও পড়ুন: COVID-19 UPDATE: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সংক্রমিত ৬১৩ জন, কলকাতায় মৃত্যু শূন্য]
ইসিএলের আয়ত্তাধীন কয়লা খনিগুলি থেকে কয়লা পাচারের (Coal Smuggling) অভিযোগে আগেই অনুপ মাঝি তথা লালার নাম জড়িয়েছে। ওই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে থেকে রক্ষাকবচও পেয়েছে কয়লা মাফিয়া হিসেবে পরিচিত লালা। কিন্তু তার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাই কোর্টে একটি পৃথক মামলা দায়ের হয়েছিল। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে লালার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের দাবিতে মামলাটি দায়ের করেছিলেন বাঁকুড়ার বাসিন্দা কালিদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।
কালিদাস বাবুর আইনজীবী বৈদুর্য্য ঘোষালের বক্তব্য, বাঁকুড়ার মেজিয়ার কালিকাপুর অঞ্চলে তার মক্কেলের প্রায় ১০০ বিঘার সম্পত্তি রয়েছে। ওই জমির নিচেই রয়েছে কয়লাস্তর। রীতিমতো ডিনামাইট দিয়ে ফাটিয়ে ১৯৯১ সাল থেকে কয়লা তোলা শুরু করেছে লালা ও তার দলবল। কালিদাস বাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে ১৯৯৪ সালে রাজ্যসরকার সেখানে পুলিশ ক্যাম্প বসালেও সেই পুলিশ ক্যাম্প তুলে নেওয়া হয়। তারপরই লালা ও তার সহযোগী কয়লা মাফিয়াদের দৌরাত্ব বেড়ে যায়। ওই এলাকায় অত্যাধিক ডিনামাইট ব্যবহার করার ফলে মামলাকারী ও তার আসপাশের বাড়ি ঘর ও কৃষিজমিতে সম্পূর্ণ ধ্বস নামতে শুরু করে। কিন্তু লালার বিরুদ্ধে একাধিকবার পুলিশে জানানো হলেও কোন ব্যবস্থা হয়নি।
অভিযোগ, ওই এলাকা থেকে কয়েকশো কোটি টাকার কয়লা চোরাচালান করেছে লালা। এর আগে ২০১৭ সালে গ্রামবাসীরা হাইকোর্টে মামলা করলে তৎকালীন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি জেলাশাসককে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু আদতে কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে অভিযোগ।